প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১৭:১৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পর গতকাল শুক্রবার বাজারের বেশির ভাগ পণ্যের দামই ছিল স্থিতিশীল। যদিও ক্রেতাদের দাবি বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার বেশ চড়া।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিনে নিত্যপণ্যের বাজার দর অস্থিতিশীল রয়েছে। সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। তাছাড়া প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। একইসঙ্গে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরেই।
তবে সুখবর নেই সবজির বাজারে। মানভেদে প্রতিকেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকড়ল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহ বেশ কম। তাই দাম একটু চড়া। ট্রাকে করে আনার সময় গরমে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বাজারে সবজি ঠুকতেছে কম।’
এদিকে সরকার চিনির দাম বেঁধে দিলেও এখনো তার প্রভাব নেই বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।
চিনির দামের বিষয়ে শ্যামলী কাঁচাবাজারের মুদি পণ্য বিক্রেতা কাওসার মিয়া বলেন, ‘পাইকারি বাজারে চিনি কেনা বেশি পরে তাই বেশি দামে বিক্রি করি। কম দামে পেলে, কম দামে বিক্রি করতে পারবো।’
ডিমের দাম অপরিবর্তীত থাকলেও কমেছে মুরগির দাম। প্রতি হালি ফার্মের মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
অপরিবর্তীত রয়েছে গরু, খাসির মাংস এবং মাছের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজেট ঘোষণায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়তে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর টাউন হলের ক্রেতা খালেক মিয়া বলেন, ‘দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। বাজেট এখানে কোন ফ্যাক্টর না। তবে মনে হচ্ছে দফায় দফায় দাম আরও বাড়বে।’
আর কারওয়ানবাজারের ক্রেতা রাজিব তালুকদার বলেন, ‘বাজেট নিয়ে ভাবি না। কম দামে পণ্য কিনতে পারবো কি না সেই ব্যবস্থা করুক এটাই চাই সর্বদা।’