প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২২:৫৯ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ২৩:০৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
উচ্চাভিলাষী বাজেটের লক্ষ্যপূরণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়েও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেকর্ড চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে সংস্থাটিকে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করতে গেলে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিকল্প নেই। সেই চাপে সাজগোজের সরঞ্জামেও বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত কর।
বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি (শুল্ক কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানান, কসমেটিকস আমদানিতে শুল্ক কর আরও ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে আগে শুল্ক কর ছিল ৩ শতাংশ। এখন থেকে তা হবে ২০ শতাংশ।
এতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে এখাত সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম। বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, অর্গানিক সার্ফেস অ্যাকটিভ উপকরণ, বার কেক ও বিভিন্ন সাবান তৈরির উপকরণ, ওয়াশিং ক্রিম, লিকুইড ক্রিম ও বিয়ের উপকরণের দাম বাড়বে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি সাবান, লিকুইড সাবান ও ডিটারজেন্টের শুল্ক কর ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশীয় বাজারে বিদেশি কসমেটিকস জাতীয় পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। অধিকাংশ সময়ই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে কিংবা অবৈধ উপায়ে বিদেশি কসমেটিকস আমদানির অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য বিদেশি উপকরণসহ কসমেটিকস শুল্ক কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যদিও এখাতে বাড়তি শুল্কারোপ করে সরকার ঠিক কত রাজস্ব আদায় করতে পারবে, সে বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা আসেনি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে।