প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ১৭:১৭ পিএম
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার। শুধু সঞ্চয়পত্র নয় ব্যাংক খাত থেকেও ঋণ নিয়ে ঘাটতি পুরণের চেষ্টা করা হবে। কারণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি আরো জানান, নতুন অর্থবছরে রাষ্ট্র পরিচালনার ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ হিসাবে নেবে এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিতে চায় সরকার। যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এরপর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ ১৮ হাজার কোটি টাকা আর অন্যান্য খাত থেকে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই- এপ্রিল) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে। কিন্তু গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই- এপ্রিল) ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয় ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত ১০ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়নের চাপে মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।
বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৫২, পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৭৬, পাঁচ বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮, তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হলেও এখনো তা ব্যাংকের তুলনায় বেশি।