প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ২০:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য দেশের তৈরি সুতা বিক্রির সুরক্ষা নীতি চান বস্ত্রকল মালিকরা। শিল্প বাঁচাতে আমদানি করা অবৈধ সুতা-কাপড় বিক্রি বন্ধ, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে দেশীয় বস্ত্রকল থেকে কটন সুতা সংগ্রহের বিধান ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুবিধা অব্যাহত রাখাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর পান্থপথে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) কার্যালয়ে ‘টেক্সটাইল খাতে বিরাজমান সমস্যা ও উত্তরণ’শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সুতা বিক্রিতে সুরক্ষা চাওয়ার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় বন্ডেডওয়্যার হাউসের আওতায় আমদানি করা সুতা, কাপড় ও পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। ফলে সুতার মজুত বেড়ে যাওয়ায় বস্ত্রকলগুলোর আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কয়েকটি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আরও মিল বন্ধ হওয়ার পথে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ঈদুল আজহার সময় মিলগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, মজুরি বোনাসসহ পরিশোধ এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে পারবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
বিটিএমএর সভাপতি আরও বলেন, ২০৩০ সালে টেক্সটাইল ও ক্লথিং থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে খাতাটির এ নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিন থাকলে সরকারের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। তাই সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমাদের দাবি থাকবে ব্যাংকের ঋণের কিস্তি ও সুদ, অন্তর্বর্তীকালীন তথা আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ব্লক অ্যাকাউন্টে রাখা। একই সঙ্গে পরবর্তী সময় হতে সহজ কিস্তি সুবিধা প্রদানেরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সহসভাপতি ফজলুল হক, পরিচালক সৈয়দ নূরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ জুবায়ের, খোরশেদ আলম প্রমুখ।