প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১৩:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও পাম তেলের কয়েকগুণ চাহিদা বেড়েছে। সম্প্রতি গ্র্যান্ডভিউ রিসার্চ ইনকরপোরেটেডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পাম তেলের বাজারের আকার ১০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বাজার বাড়বে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হারে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় এই ভোজ্য তেলের প্রধান উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশ। বর্তমানে পাম তেল শুধু ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এটির ব্যবহার বেড়েছে প্রসাধনী এবং ব্যক্তিগত ব্যবহার্য পণ্যেও। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলো পাম তেলের সবচেয়ে বড় বাজার। এই অঞ্চলে খাদ্য তৈরিতে এই ভোজ্য তেলের ব্যবহার বেশি হওয়ায় চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে বেশি।
জানা যায়, ৬৮ শতাংশ পাম তেল খাদ্যে ব্যবহার করা হয়। ২৭ শতাংশ কসমেটিকস, ডিটারজেন্ট এবং অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এমন বহুমুখী ব্যবহারের সুবিধার কারণে ১৯৯০ সাল থেকে পাম অয়েলের উৎপাদন প্রায় সাত গুণ বেড়েছে।
এক সময় এই গাছ মূলত আফ্রিকার পশ্চিমে দেখা যেত। বর্তমানে গোটা বিশ্বে পাম তেল উৎপাদনের প্রায় ৮৫ শতাংশের ভাগীদার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী পাম তেল লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য দূর করছে। সূত্র : গ্র্যান্ডভিউ রিসার্চ