× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ই-কমার্স

অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ভ্যাট থেকে দায়মুক্তি

জাহিদুল ইসলাম

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১১:৪৯ এএম

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩ ১১:৫২ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ই-কমার্স কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সংযুক্ত করে থাকে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ই-কমার্স খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রয়ের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট থেকে দায়মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর মাধ্যমে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা পরিচালনার জন্য বাধা কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার আগামী বাজেটে অনলাইন মার্কটপ্লেস এবং খুচরা ব্যবসার শ্রেণিবিন্যাস বা স্পেসিফিকেশন অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো ডিজিটাল বাণিজ্যের ওপর ভ্যাট দেওয়া থেকে মুক্ত থাকবে।

বর্তমান নিয়মানুযায়ী, অনলাইন মার্কেটপ্লেস কোম্পানিগুলো পরিষেবা প্রদানের ওপর শুধুমাত্র ভ্যাট প্রদান করবে। এ ছাড়া তারা নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করলে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, এটি করদাতাদের হয়রানি কমাতে এবং এ খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার সুযোগ তৈরি করবে। ডেলিভারি চার্জের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার বা ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন তারা। এর আগে এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সময়ে এনবিআরের কাছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং খুচরা ব্যবসার শ্রেণিবিন্যাসসহ এ-জাতীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন।

তাদের দাবিগুলো ছিল- অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর শ্রেণিবিভাগের অভাব ব্যবসার জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। বিদেশি এবং স্থানীয় বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে। এতে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। কারণ তাদের কার্যক্রম খুচরা ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। তারা ই-কমার্স ও প্রচলিত ব্যবসার মধ্যে ভ্যাট বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছিলেন।

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো তাদের সাইটগুলো ব্যবহার করায় প্রতিটি ডিজিটাল বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট দিতে হয়। যদিও তারা পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রি করছে না। জানা গেছে, এনবিআর কর্মকর্তারা এসব প্রতিষ্ঠানকে কখনও কখনও তাদের আগের দুই-তিন বছরের প্রতিটি বিক্রয়ের ৬.৩ ভ্যাট চালান দেখতে চেয়ে ভোগান্তিতে ফেলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান বিধান ডিজিটাল ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি করে। ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসগুলোয় বিক্রি কমায় এবং বিনিয়োগকে সংকুচিত করে, যা ই-কমার্স সেক্টরকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশকে ডিজিটাল এবং স্মার্ট হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাধা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ই-কমার্স খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ই-কমার্স বাজারের আকার ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছরে এ বাজারের প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ২৫ শতাংশ। ২০২১ সালের শেষে বাজারের আকার ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। ই-ক্যাবের ধারণা, ২০৩০ সালের শেষে এ খাতের বাজার ৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিডিজবসডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বর্তমানে প্রচলিত ব্যবসা এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মধ্যে ভ্যাট বিধানের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই। তবে প্রকৃতপক্ষে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ই-কমার্স কোম্পানিগুলো তাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করলেও তারা এখন ভ্যাট দায় নিতে বাধ্য। সরকার যদি বাজেটে এটি সংশোধন করে তবে এ খাতকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, যা ডেলিভারিকে ব্যয়বহুল করে তোলে এবং গ্রাহকদের আরও চাপের মধ্যে ফেলে। কারণ ঢাকার বাইরে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা বসবাস করছেন, যাদের এক হাজার টাকার পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রায় ১৫০-২০০ টাকা অতিরিক্ত ডেলিভারি চার্জ দিতে হয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে ভোক্তাদের বোঝা কমাতে, অনলাইন বিক্রিকে জনপ্রিয় করতে এবং ডিজিটালাইজেশনে সহায়তা করতে এ ভ্যাট প্রত্যাহার বা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা