ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১২:৪৪ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১৩:২৫ পিএম
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের দাম কমেছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। একইভাবে ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজির শুকনো মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়।
পাইকারি বাজারে কাঁচা ও শুকনো মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
রবিবার (২১ মে) সকালে ফুলবাড়ী পৌর সবজিবাজারে কাঁচা ও শুকনো মরিচ কিনতে আসেন স্থানীয় ডুঙ্গী হোটেলের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল মহন্ত। তিনি বলেন, পেঁয়াজ, মরিচ, আদার দাম বাড়তি হওয়ায় দোকানে তরকারিতে পরিমাণমতো এগুলো দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাবার সুস্বাদু হচ্ছে না। এতে ক্রেতা হারাতে হচ্ছে। এখন কিছুটা হলেও দাম কমায় অন্তত মরিচটা কেনা যাবে।
বাজার করতে আসা জাকির হোসেন বলেন, মরিচের দাম কমলেও পেঁয়াজের বাজারে আগুন। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও শনিবার একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের সুযোগে মজুদদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে।
খুচরা মরিচ বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা ও মো. মন্টু বলেন, পঞ্চগড়, বগুড়া, নীলফামারী, ডোমারসহ আশপাশ এলাকায় কাঁচা মরিচের আবাদ বেড়েছে। এসব এলাকার মরিচ বাজারে আসায় দাম কমেছে।
পাইকারি বিক্রেতা মিলন মিয়া ও আমজাদ হোসেন বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে আসছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক দোকানদারকে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলা হয়েছে। কেউ বাড়তি দামে কিছু বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।