প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩ ১১:৩২ এএম
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩ ১৩:১৯ পিএম
ফাইল ফটো
আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। আমদানির জন্য আইপি (আমদানি অনুমতি) না থাকায় পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়-- বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
কেন দাম বাড়ছে-- এমন প্রশ্নে রাজধানীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমের অজুহাত দিয়েছেন। পাইকারি বিক্রেতা রাকিব হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আইপি না থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়তেছে। সরবরাহ যদি ভালো না থাকে, তবে তো দাম বাড়বেই। সরকার যত তাড়াতাড়ি আইপি দেবে, তত তাড়াতাড়ি বাজার স্বাভাবিক হবে। অন্যথায় আগামী সপ্তাহে দাম আরও বাড়বে। দেখা যাবে আগামী সপ্তাহে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে।’
দাম বাড়ার বিষয়ে শনির আখড়া কাঁচাবাজারের বিক্রেতা রুবেল তালুকদার বলেন, ‘আমাদের যদি বেশি দামে কিনতে হয় তবে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। আমরা কেজিতে ১ থেকে ২ টাকার বেশি লাভ করি না। এবার দেশি পেঁয়াজ বৃষ্টির কারণে অনেক নষ্ট হয়েছে। এতে দেশি পেঁয়াজেরও সংকট রয়েছে। বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দাম বাড়বেই।’
এদিকে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের ক্রেতা আরিফুল সরদার বলেন, ‘একটার পর একটা পণ্য নিয়ে বাজার অস্থির থাকছেই। এসব নিয়ে আর পারি না। বাজার ব্যবস্থা একটা সুন্দর কাঠামোতে চলুক এটাই চাই। পেঁয়াজের দাম যেন আবার দুইশর ঘরে না যায়, তার আগেই পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’
দাম বেঁধে দেওয়ার পরও সুখবর নেই চিনির বাজারে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকার বিপরীতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে। খুচরা দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি। তবে দুয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এ বিষয়ে শ্যামলী কাঁচাবাজারের বিক্রেতা কাওসার মিয়া বলেন, ‘খোলা চিনি কেনা পড়ছে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা। দাম বেঁধে দিলেও তো আমরা কম দামে পাচ্ছি না। আমরা কম দামে পেলেই কম দামে বিক্রি করতে পারব।’
কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি ও মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আকারভেদে প্রতি কেজি শিংমাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।