× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শতকোটির প্রকল্প নিয়ে বিপদে ওসমানী উদ্যান

ফয়সাল খান

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩ ০৮:৩৮ এএম

আপডেট : ১৯ মে ২০২৩ ১৫:৫৭ পিএম

 শতকোটির প্রকল্প নিয়ে বিপদে ওসমানী উদ্যান

পুরান ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে মানুষের স্বস্তিদায়ক উন্মুক্ত জায়গা ওসমানী উদ্যান। তবে ‘গোস্বা নিবারণী পার্ক’ নাম দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে ছয় বছর ধরে এ উদ্যানে আর উন্মুক্ত পরিবেশ পাচ্ছে না নগরবাসী। এখানে-ওখানে গাছ কেটে, রড-সিমেন্টের অর্ধেক স্থাপনা তৈরি করে অবিন্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলা হয়েছে এ উদ্যানকে।

এদিকে যে লক্ষ্য সামনে রেখে উদ্যানে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন নগর বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, ১০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ওসমানী উদ্যান তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হারাবে। প্রকৃতপক্ষে কোটি টাকা খরচ করে ঐতিহাসিক এ উদ্যানকে ধ্বংস করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে হেলিকপ্টারে করে পানি নিতে হয়েছিল। অথচ হাতের কাছের ওসমানী উদ্যানেই এক সময় ছিল বিশাল পুকুর। উন্নয়নের নামে সেই পুকুরের পানি শুকিয়ে বড় বড় পিলার স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে গণপরিসরে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা হলে একদিকে মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থিরতার ক্ষেত্র নষ্ট হবে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়া পরিবর্তন ও দুর্বিপাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে।

কংক্রিট স্থাপনা কতটুকু

২০২১ সালে ঢাকার পার্ক-উদ্যানের নকশা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। এতে বলা হয়, ওসমানী উদ্যানের নকশায় ৫২ ভাগ কংক্রিট রাখা হয়েছে। অথচ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, পাবলিক পার্ক ও খোলা পরিসরে শতকরা ৫ ভাগের বেশি জায়গায় অবকাঠামো তৈরির সুযোগ নেই। 

তবে এ পরিসংখ্যান সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন পার্কটির নকশাপ্রণেতা স্থপতি রফিক আজম। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘পার্কের মধ্যে যত কংক্রিটের স্থাপনা রয়েছে, তা ৫ শতাংশের বেশি হবে না। যারা এসব বলছেন, তারা সঠিক বলছেন না। আমার কাছে নকশা রয়েছে, কেউ দেখতে চাইলে, দেখতে পারেন।’ 

প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতায় নষ্ট হচ্ছে উদ্যান

ওসমানী উদ্যানসহ ঢাকার পার্ক ও খেলার মাঠ নিয়ে ২০১৭ সালে প্রকল্প গ্রহণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আবদ্ধ এ উদ্যান। তবে প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতায় এর টিনের বেড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে নানা স্থানে। সেসব স্থান দিয়ে আসা-যাওয়া করছে অনেকেই। গত মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন দেখা গেল, উদ্যানে অনেককেই ঘোরাঘুরি করতে। বেশ কিছু ছেলেমেয়েকে দেখা গেল খেলাধুলা করতে। তবে এলোমেলোভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী ও বড় বড় গর্ত এ উদ্যানের মধ্যে মানুষের চলাচলকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। পুকুরের ওপর নির্মাণ করা বিশালাকৃতির স্থাপনার বড় বড় রড ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে বড় রকমের বিপদ। 

তা ছাড়া উদ্যানের ভেতরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নির্মাণাধীন স্থানে নানা আগাছা জন্মেছে। অবশ্য ভেতরের সড়ক, গাছের গোড়া পাকাকরণ, স্ট্রিট লাইট ও ড্রেন নির্মাণসহ কিছু অবকাঠামোর কাজ করা হয়েছে। 

এদিকে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারা ও শর্তভঙ্গের দায়ে দেড় বছর আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ডিএসসিসি। তবে নানা জটিলতায় এখনও নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পাঁচ বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে ১০ মাস মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার বিকালে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এ কাজটি নিয়ে আমি মর্মাহত। এটি একটি মেগা প্রকল্পের অধীনে ছিল। পরিকল্পনা, নকশা সবই করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাজটি সম্পন্ন হয়নি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুবার পরিদর্শন করেছি, ঠিকাদারকে ডেকে কথা বলেছি। কিন্তু তাদের আর কাজে ফেরানো যায়নি। পরে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছি। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুক্তি বাতিল করলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নির্ণয় করতে হয়, কতটুকু কাজ হলো। পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল ও দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এরপরও আমরা সব কাজ শেষ করেছি। এখন নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে বাকি কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে। 

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, কার্যাদেশ বাতিল করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ পরিমাপণ করতে হয়। ওসমানী উদ্যান প্রকল্পের কার্যাদেশ বাতিল করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বারবার চিঠি দিয়ে বা যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই কার্যাদেশ বাতিলে বেশি সময় লেগেছে। তারা জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান না আসায় পরবর্তী ধাপে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর প্রকল্পের কাজের মূল্য নির্ধারণ করে জরিমানা ধরা হয়। সময়সাপেক্ষ এসব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন না হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মামলা করার সুযোগ থেকে যায়। 

প্রকল্পটির পরিচালক মুন্সি আবুল হাসেম সম্প্রতি মারা গেছেন। এরপর ডিএসসিসির পরিবেশ ও জলবায়ু সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আগের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের কাজের মূল্য নির্ধারণ করার পাশাপাশি পাওনা থেকে জরিমানা কেটে বাকি টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্কের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। তাই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রকল্পের শুরু থেকে ছিলাম না। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোনো সহযোগিতা করেনি। এতে নতুন করে কাজ শুরু করতেও দেরি হচ্ছে।

শুরুতে এ প্রকল্পের কাজ করেছে দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফজলুল হক স্বপনের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে স্থপতি রফিক আজম বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। তাদের কাজের ধরন দেখে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের পর আবার সবকিছু ঠিক করে দিয়েছি। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হলে কাজ সম্পন্ন হবে।’

প্রকল্পের গতি-প্রকৃতি

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যানে প্রথমে ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরে নতুন পরিকল্পনা সংযোজন করে তা বাড়িয়ে ৮৬ কোটি টাকা করা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর আবারও পানি নিষ্কাশন, ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন প্রক্রিয়া যোগ করা হয়। ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ কোটি টাকার ওপরে।

প্রায় ২৩ একর এলাকাজুড়ে ওসমানী উদ্যান। সচিবালয়, নগর ভবন, গুলিস্তান, পল্টন ও হাইকোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যবর্তী এ স্থানে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ বিশ্রাম নিতেন, ঢাকার বাইরে থেকে আসা অনেকেই এখানে অবসর সময় কাটাতেন। ভাসমান মানুষ ও পথশিশু থেকে সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এখানে সময় কাটাতেন। অনেকে শরীর চর্চা করতেন। কিন্তু উন্নয়নকাজের জন্য টিনের বেড়ায় আবদ্ধ করে ফেলা হয় উদ্যানটি। এরপর থেকে সেখানে আর কেউ ঢুকতে পারছেন না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে বিভক্ত। প্রথম প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত একটি লাইব্রেরি, ফুড কোর্ট-১, ফুড কোর্ট-২, কার পার্কিং প্লেস, জিম, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড বোর্ড, এটিএম বুথ, ওষুধের দোকান, বিনোদনকেন্দ্র ও নগর জাদুঘর।

দ্বিতীয় প্যাকেজে রয়েছে শিশুদের খেলার জায়গা, ভলিবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, লেকের পাড় উন্নয়ন, ঘাট তৈরি, মাঠ উন্নয়ন ও সাব-স্টেশন স্থাপন এবং তৃতীয় প্যাকেজে ওয়াটার পিউরিফিকেশন সিস্টেম, স্বাধীনতা চত্বর ও কফিশপ, স্পিংকেল সিস্টেম, ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন, প্যাডল বোট, বিভিন্ন ভাস্কর্য ও পুরান ঢাকার থ্রিডি স্থাপত্য নকশার মডেল। এ ছাড়া জলাধার, আলাদা আলাদা বসার জোন করার পাশাপাশি বড় স্ক্রিনে নিজের অবস্থান দেখার ব্যবস্থা রাখারও কথা ছিল এ প্রকল্পে। নিরাপত্তার জন্য ৩৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও জিম স্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু প্রায় ছয় বছরে এসবের কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। 

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘ওসমানী উদ্যান পুরান ও নতুন ঢাকার মিলনস্থল। একে উন্মুক্ত উদ্যান হিসেবেই রাখতে হবে। এখানে সরকারিভাবে উন্নয়নের নামে ফুড কোর্ট ও স্থাপনা তৈরি কারও কাম্য না।’ তিনি বলেন, ‘এ জায়গায় স্থাপনা তৈরি করা হলে উদ্যানের বৈশিষ্ট্য থাকবে না। ঢাকার বায়ুসহ পরিবেশের অবস্থা আরও নাজুক হবে। পার্কে ফুড কোর্ট ও স্থাপনা তৈরির ব্যবসায়িক চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে।’ 

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ওসমানী উদ্যান উন্নয়নে ইট-পাথর আর কংক্রিটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সবুজ পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। অথচ ঢাকায় সবুজ প্রকৃতির অভাব রয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ‍উদ্যানটি ধ্বংস করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে পাখি ও কীটপতঙ্গদের আবাসস্থল হচ্ছে উদ্যান। কিন্তু যেভাবে কংক্রিটের স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে, তাতে জীববৈচিত্র্য ও সামগ্রিকতাও নষ্ট হচ্ছে। পাখিদের কলকাকলিও কমে আসছে।’ 

তিনি বলেন, ‘একটি গণপরিসরের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সর্বজনীনতা। ওসমানী উদ্যানে সব শ্রেণিপেশার মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল। এখন উন্নয়নের নামে এ পার্ক নিয়ে কী করা হচ্ছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট না। ওসমানী উদ্যান থেকে বেরিয়ে যেকোনো দিকে ২ মিনিট হাঁটলেই রেস্টুরেন্টের অভাব নেই। এখানে কোনো মানুষ খেতে আসত না। সবাই উন্মুক্ত প্রকৃতিতে একটু খোলামেলা সময় কাটাতেই আসত। কিন্তু ওসমানী উদ্যানের ডিজাইনে রেস্টুরেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে কোটি টাকা খরচ করেও আগের অবস্থা ফিরবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের গণপরিসর নিয়ে ডিজাইন করার আগে পেশাজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তা নিয়ে মতবিনিময়ের দরকার ছিল। ঢাকার এ উদ্যানে সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইন করা হলে আমরা সাধুবাদ জানাতে পারতাম।’

এ প্রসঙ্গে স্থপতি রফিক আজম বলেন, ‘ওসমানী উদ্যানে গাছের গোড়া, কিছু হাঁটার পথ ও খাবার দোকান ছাড়া তো কোথাও কংক্রিট নেই। ২৩ একর জায়গার মধ্যে এটুকু কংক্রিট ৫ শতাংশের মধ্যেই আছে। আমার ড্রয়িংয়ের মধ্যে গাছ কাটা নেই। গাছ বাঁচানোর জন্য আমি লড়াই করেছি। এর পরও কেউ গাছ কেটে থাকলে সেটা আমার অজান্তে ঘটেছে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা