× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কিছুটা গতি বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৬ পিএম

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫৩ পিএম

কিছুটা গতি বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি বাস্তবায়নে কিছুটা গতি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে সার্বিকভাবে মাত্র ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। টাকার অঙ্কে খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৯ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। তখন এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়। মোট প্রকল্প ১ হাজার ৩৬৩টি। 

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রকাশিত এডিবি বাস্তবায়ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জননিরাপত্তা বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এই তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতায় বাস্তবায়িত ৩০টি প্রকল্পে এক টাকাও খরচ হয়নি।

আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ বছর জননিরাপত্তা বিভাগের ১৮ প্রকল্পে ১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ১৪ প্রকল্পে ৩০৩ কোটি টাকা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭ প্রকল্পে ১০১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গত জুলাই ও আগস্ট মাসে তাদের বরাদ্দের অনুকূলে ১ শতাংশ অর্থও খরচ করতে পারেনি। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ৩৫৩টি প্রকল্প আছে, যা মোট এডিপির মোট প্রকল্পের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ।

বরাদ্দের ১ শতাংশের কম খরচ হয়েছে, এমন মন্ত্রণালয়গুলো হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন, শিল্প, ধর্ম, প্রতিরক্ষা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। আর বিভাগগুলো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

যদিও ব্যয় কম হওয়ার পেছনে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যয়সাশ্রয়ী নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন, জরুরি না হলে বিদেশ সফর ও গাড়ি কেনা বন্ধ, আসবাব কেনায় আরও সাশ্রয়ী হওয়াসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে।

দেশের অর্থনীতিতে চাপের কারণে সরকার সম্প্রতি প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে। ‘এ’ শ্রেণির প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মানে, চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তা পুরোটাই খরচ করত হবে। ‘বি’ শ্রেণিতে থাকা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।

‘সি’ শ্রেণির প্রকল্পকে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ শ্রেণিতে ৬৪৬টি প্রকল্প, ‘বি’ শ্রেণিতে ৬৩৬টি প্রকল্প এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ৮১টি প্রকল্প রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি প্রকল্প কোনো শ্রেণিতে রাখা হয়নি।

এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক অর্থবছরের শুরুতেই আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা ধীরগতি থাকে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় এডিবি বাস্তবায়ন বেশি হয়েছে। কিছু সাধন নীতির কারণেও ব্যয় কিছুটা কম হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

অর্থবছরের শুরুতে কাজ কম হওয়ার বিষয়ে সাবেক আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রকল্পের সারা বছরের কাজের পরিকল্পনা নিতে হয়। বিভিন্ন ধরনের পেপারওয়ার্ক থাকে। টেন্ডারের বিষয় থাকে, ক্রয় প্রস্তুতির বিষয় থাকে। এসব কাজে তো তেমন অর্থ খরচ হয় না। এসব কারণে অর্থবছরের শুরুতে কাজ হলেও অর্থ ব্যয় না হওয়ায় এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়। তবে এবার দেখবেন প্রথম প্রান্তিকের পর প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোবে।’

এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আগে থেকে প্রস্তুতি না নিয়ে বাজেট পাস হওয়ার জন্য বসে থাকে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। বাজেট পাসের পর বিভিন্ন পেপারওয়ার্ক, টেন্ডারিং, অনুমোদন এসব করতেই বছরের অর্ধেক চলে যায়। তারপর দেখা যায় বছরের শেষে তাড়াহুড়ো করে কাজ করে। তখন দেখা যায় কাজের মান খারাপ হয়, তদারকি থাকে না। ফলে ব্রিজ করলে দেখা যায় তিন মাস পরই ভেঙে পড়ে। রাস্তা করলে দুই মাস পর ঢালাই উঠে যায়।’

প্রবা/আরএম/এমজে

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা