প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩ ১৬:৪৭ পিএম
মহাকাশে শুরুতে হ্যাভেন-১ পাঠাতে চায় ভাস্ট। ছবি : সংগৃহীত
ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘ভাস্ট’ মহাকাশে প্রথম
বেসরকারি স্পেস স্টেশন স্থাপন করতে চাইছে, যেখানে একজন নভোচারী পৃথিবীর মতই মাধ্যাকর্ষণ
শক্তি অনুভব করতে পারবেন। তবে মডিউলকে মহাকাশে পৌঁছতে এবং যাত্রীদের কক্ষপথে নিয়ে
যেতে ও ফেরত আনতে তাদের কোনো রকেট বা স্পেসশিপ নেই। তাই এ কাজগুলো করতে আরেক বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান
স্পেসএক্সের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে ভাস্ট।
স্পেসএক্সের সঙ্গে এই বিষয়ক চুক্তির কথা এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে
কোম্পানিটি। যদিও চুক্তির অঙ্কটা ঠিক কত, তা জানায়নি তারা। গণমাধ্যম এ বিষয়ে জানতে
চাইলেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে কোম্পানির হর্তাকর্তারা। এ ছাড়া প্রস্তাবিত এই মহাকাশ
স্টেশনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের কত খরচ করতে হবে তাও স্পষ্ট নয়। তবে এটুকু
নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ভাস্টের মহাকাশ স্টেশনে পেশাদার নভোচারী ছাড়াও পর্যটকরাও যাওয়ার
সুযোগ পাবে।
ভাস্টের প্রতিষ্ঠাতা জেড ম্যাককালেব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম
বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন হ্যাভেন-১ শুরু করার এই যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত।’
ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা করে ধনী হওয়া ক্যালেব জানান, এ ব্যবসায়
তিনি নিজের অর্থের ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেন এবং কোম্পানির প্রস্তাবিত মহাকাশ স্টেশন
তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এবং অর্থ আয় শুরু না করার আগ পর্যন্ত বাইরে থেকে কোনো বিনিয়োগ
আনার পরিকল্পনা নেই তার। তবে সামগ্রিক প্রকল্পের জন্য সম্ভবত ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি
ব্যয় হবে।
ভাস্ট বলছে যে এটি ২০২৫ সালের আগস্টের মধ্যে তাদের মূল ক্যাপসুল উৎক্ষেপণের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে স্পেস স্টেশন তৈরি করা অত্যন্ত জটিল প্রচেষ্টা।
ম্যাককালেব জানিয়েছেন, তাদের জন্য সুবিধা হলো তারা স্পেসএক্সের ড্রাগন
মহাকাশযানের জন্য তৈরি করা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে, কোম্পানিটি
হেভেন-১ এর পরিকল্পনা করেছে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করার
জন্য, যা পৃথিবীর কক্ষপথে মুক্ত ও ভাসমান অবস্থায় থাকবে। পরে কোম্পানিটি একটি
বড় মহাকাশ স্টেশনে একটি মডিউল হিসেবে মহাকাশযানটিকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা
করেছে।
ভাস্ট বলেছেন যে তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কৃত্রিম
মাধ্যাকর্ষণসহ একটি বিশাল প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশন তৈরি করা যা একটি
স্পেসএক্স স্টারশিপ যানের ওপরে চালু করা যেতে পারে। যদিও স্টারশিপ এখনও বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে। এপ্রিলে পরীক্ষামূলক প্রথম ফ্লাইটে
রকেটটি বিস্ফোরিত হয়।
তবে ভাস্ট একাই নয়। অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি
ব্লু অরিজিনও মহাকাশ স্টেশন চালু করতে চাইছে।
সূত্র : সিএনএন