× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পাঁচ বছর উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি বিজিএমইএর

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩ ১৪:৪৮ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পোশাকশিল্পের রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এটি আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার দাবিও জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। 

সেখানে তিনি বলেন, ‘উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হলে শিল্প টিকে থাকবে, রাজস্ব আসবে ও আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। একই সঙ্গে এ খাতের উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবেন।’

করপোরেট করহার ও উৎসে আয়করের চিত্র তুলে ধরে ফারুক হাসান বলেন, ‘বিবিধ খরচকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) করারোপ না করে করপোরেট করহার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করার দাবি জানাই। একই সঙ্গে আসন্ন বাজেটে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানাই।’

নগদ সহায়তার বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানাই। যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত।’

আগামী বাজেটে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘নন-কটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার এবং আমাদের রপ্তানি সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের জন্য আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘এই বিশষ প্রণোদনা প্রদান করা হলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে, নতুন বিনিয়োগ আসবে, কর্মসংস্থান বাড়বে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবা খাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে, সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।’

নন-কটনের চাহিদার কথা তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত চার দশকে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছলেও পণের ম্যাটেরিয়াল ডাইভারসিফিকেশন তুলনামূলক কম হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি অনুযায়ী, আমাদের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭৩ শতাংশ ছিল কটনের তৈরি, যা ১৩ বছর পূর্বে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে আমাদের শিল্পের কটননির্ভরতা বেড়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নন-কটন পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। বর্তমান বিশ্বে ভোক্তাদের ক্রমাগত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নন-কটন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। যেখানে বিশ্বে মোট টেক্সটাইল কনজাম্পশনের প্রায় ৭৫ শতাংশই নন-কটন এবং কটনের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ; বর্তমানে বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যের ৫২ শতাংশ পণ্য নন-কটনের, সেখানে আমাদের নন-কটন পোশাকের রপ্তানির মাত্র ২৬ শতাংশ।

বিগত দশকে আমাদের দেশে নন-কটন, বিশেষত ম্যান-মেড-ফাইবার খাতে কিছু বিনিয়োগ হলেও এসব বিনিয়োগ মূলত মূলধন এবং টেকনোলজিনির্ভর। প্রতিযোগী দেশগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে এই শিল্পের কাঁচামালের জোগান থাকায় এবং তাদের স্কেল ইকোনমির কারণে তারা প্রতিযোগী সক্ষমতায় অনেক এগিয়ে আছে বলে জানান ফারুক হাসান।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশে জ্বালানি সংকট নিরসনের জন্য সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছে। কিন্তু উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করার কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সোলার পিভি সিস্টেম স্থাপন করা উদ্যোক্তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জ্বালানি সাশ্রয় করা এবং সবুজ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবার বিদেশি ক্রেতারা শিল্প-কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্সের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। শিল্প-কারখানায় সোলার প্যানেল সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব। পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সোলার পিভি সিস্টেমের সবগুলো সরঞ্জাম আমদানিতে ১ শতাংশ হারে শুল্ক রেয়াতি প্রদানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজিএমই সভাপতি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা