প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩ ১৮:১৪ পিএম
আপডেট : ১০ মে ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পরিশোধিত খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১০৪ টাকা। প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম কেজিপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে।
চিনি পরিশোধনকারীরা নতুন এই দামে চিনি বিক্রি করার অনুমতি পেল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ’আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় চিনি আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হবে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে তিন মাস ধরে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি প্রতি পাউন্ড অপরিশোধিত চিনির দাম ২৪ সেন্ট করে বেড়েছে। এর ফলে পণ্যটির দাম বেড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চিনির দাম আরও বাড়তে পারে। বিশ্বে চিনির অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক ভারতসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্ববাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানিকৃত খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানি নীতি আদেশ ২০২৩-২৪ বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় চিনি আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেছেন, চিনির জন্য শুল্ক হার এখনও বলবৎ রয়েছে। এটি ৩১মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্ক হার অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এজন্য আমরা শুল্ক হার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।
দেশের চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশের চিনি আমদানি ও শোধনকারীরা গত মাসেই চিনির দাম বাড়াতে চেয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ার হিসাবে আমদানি ব্যয় বিশ্লেষণ করে। বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৬ টাকা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।