প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৯ পিএম
ছবি সংগৃহীত
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। একই জায়গায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির চাপে খুচরা পর্যায়ে ওষুধের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। কিন্তু উৎপাদকরা বলছে, ওষুধের দাম সামান্য পরিমাণে বেড়েছে।
এদিকে ওষুধের আমদানিকারক এবং প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো সরকারের কাছে ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর দাবি করছে। অন্যথায় ওষুধশিল্পে ধস নামতে পারে বলেও সতর্ক করছে তারা। তবে সরকার দাবি মেনে নেওয়ার আগে এক মাস ওষুধের আমদানিকারক এবং প্রস্তুতকারকদের নজরদারিতে রাখবে বলে জানিয়েছে।
মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি রুপি আরও দুর্বল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ১১০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা নিয়েছে। তবে সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে জনগণের সমর্থন হারানোর শঙ্কায় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সর্বশেষ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানে ওষুধ সংকট দেখা যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ওষুধ আমদানি করতে পারছিল না দেশটি। একই সঙ্গে ওষুধশিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে সর্বশেষ এক মাস ধরে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন ও সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছিল। অ্যাসোসিয়েশন দাম ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বলছিল। তাদের দাবি, দাম ঠিকমতো না বাড়ালে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
সূত্র : রয়টার্স