× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রূপপুরের লেনদেনে খোলা হয়েছে আলাদা অ্যাকাউন্ট

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০৪ পিএম

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লেনদেন পরিচালনায় আলাদা একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে সরকার। এর ফলে প্রকল্পটির লেনদেনে আর কোনো জটিলতা নেই। সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলকে বিষয়টি জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সংশ্লিষ্ট উইং ফরেন এইড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস (ফাবা)। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন সম্পন্ন করতে স্ট্যাটেজিক অ্যাকাউন্টস খোলার শর্ত ছিল আইএমএফের পক্ষ থেকে। 

বাংলাদেশ কী পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে, তার ডেটাবেসের তথ্য চেয়েছে আইএমএফ। এ ছাড়া ডেটাবেসে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেটিও জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফরে আসা এই প্রতিনিধিদল।

গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে ইআরডির ফাবা উইংয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফাবা কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উপস্থিত ফাবার একজন কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফের গত মিশনে ফাবার সঙ্গে বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লেনদেনের জটিলতা এড়াতে একটি স্ট্যাটেজিক অ্যাকাউন্টস খোলার শর্ত দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা কাজ করেছেন। আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে শর্ত পূরণের কথা জানানো হয়েছে। এর বাইরে আলাদা করে আর কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ফাবা কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে অবহিত হয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। 

এ প্রসঙ্গে ইআরডি সচিব শরিফা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএমএফ আমাদের কাছে ঋণসংক্রান্ত ডেটাবেস নিয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তা নিয়েই আলোচনা করেছি।’ 

রিপেমেন্ট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফা খান বলেন, ‘আমাদের রিপেমেন্ট এখন পর্যন্ত ক্লিয়ার। এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে ডেটাবেসের কোন পদ্ধতি ব্যবহার করি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশ আঙ্কটাডের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে।’

অবশ্য ইআরডির আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ প্রতিনিধিদল রাশিয়ার সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, সেটি খোলা হয়েছে। আর সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট নিয়ে জানতে চেয়েছে তারা।’

এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে আগামী অক্টোবরে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আসবেন। তখন তারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

ফাবার সঙ্গে বৈঠকের আগে ইআরডি সচিব শরিফা খানের সঙ্গেও বৈঠক করে আইএএমএফ প্রতিনিধিদলটি। বৈঠকে তারা বিদেশি ঋণসংক্রান্ত তথ্যও জানতে চেয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে কোনো উন্নয়ন সহযোগীর ঋণের কিস্তি পরিশোধ বাকি আছে কি না, সে বিষয়ে তাদের বেশি আগ্রহ ছিল। 

জানতে চাইলে ইআরডি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিরা বিদেশি ঋণসংক্রান্ত ডেটাবেস নিয়ে জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে। 

আইএমএফের সঙ্গে আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, বাজেটসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গেই হয়েছে।

জানা গেছে, আইএমএফের ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর্থিক খাতের মধ্যে বড় অংশজুড়ে রয়েছে ব্যাংক খাত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত অর্জন এবং আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি যাচাই করছে এবারের মিশন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আসছে বাজেটে কী কী উদ্যোগ থাকছে, তা-ও পর্যালোচনা করা হবে।

আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ঋণপ্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিন পরই প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ দেবে আইএমএফ।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা