× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৯ মাসে ৪১ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন

এম আর মাসফি

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৬ পিএম

৯ মাসে  ৪১ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে গতি বাড়ছে না। যেখানে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুযায়ী ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেখানে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ অর্থাৎ ৯ মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ৯৮ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি তিন মাসে খরচ করতে হবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। যদিও মূল এডিপি হলে আরও বেশি খরচ করতে হতো।

গতকাল সোমবার পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেছে। 

আইএমইডির প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৪১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যেখানে গত অর্থবছরে এডিবি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরের মার্চে আগের অর্থবছরের মার্চের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের মার্চে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ আর খরচ হয়েছে ১৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ আর খরচ হয়েছিল ১৪ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। 

আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ইআরডি। তাদের পাঁচটি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আর খরচ করেছে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাদের ছয় প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। তারা ৯ মাসে খরচ করেছে ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ আইএমডি ৭৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে। তারা তিন প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা খরচ করেছে। তাদের বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এদিকে এডিবি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের ২৪৫টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তারা মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ করেছে ১৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। যদিও তাদের এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ৪৩ শতাংশ। 

বেশি খরচ করার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাদের ৭১টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। গত ৯ মাসে তারা খরচ করেছে ১৫ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। এডিবি বাস্তবায়ন করেছে ৫৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। 

অর্থ খরচের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তাদের ১৬৮টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তারা খরচ করেছে ১৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। 

এদিকে সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন দেশে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে চলতি অর্থবছরে এক টাকাও খরচ হয়নি। এর পরের অবস্থানে আছে সংসদবিষয়ক সচিবালয়। তারা এডিপি বাস্তবায়ন করেছে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তারপরের অবস্থান আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। তারা এডিবি বাস্তবায়ন করেছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। তারা সাতটি প্রকল্পের বিপরীতে খরচ করেছে মাত্র ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এদিকে অনেক প্রকল্প পরিচালকই অভিযোগ করছেন তারা চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর যে চাহিদা সেই অনুযায়ী বরাদ্দ মিলছে না। আমার সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। তাহলে এই তিন বছরের প্রকল্প কয় বছরে শেষ করব।’ 

এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এডিপির আকার অনুযায়ী মন্ত্রণালয়গুলোকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়গুলো তাদের প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়। দেখা যায়, মন্ত্রণালয়গুলোতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রকল্পগুলোতে চাহিদা তার কয়েক গুণ। এ কারণেই দেখা যাচ্ছে প্রকল্পগুলো চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাচ্ছে না। ফলে প্রকল্প দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। প্রকল্পে সঠিক সুফল পাচ্ছে না জনগণ।

এডিপি কম বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সাধারণত অর্থবছরের শেষদিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়ে। এ ছাড়া প্রকল্পে ধীরগতি থাকে, অনেক সময় মন্ত্রণালয়গুলো ঠিকমতো রিপোর্ট করে না, এসব কারণে প্রথম দিকে বাস্তবায়নের হার কম থাকে। যদিও এই ট্রেন্ড মোটামুটি প্রতিবছরই একই থাকে। তবে এবার বাস্তবায়ন একটু কম হয়েছে। এটা বিবেচনা করার বিষয়। এটা বাড়ানো দরকার।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা