× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে

জয়নাল আবেদীন

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম

ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে

নগদ টাকার লেনদেন কমছে, বাড়ছে কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। গ্রাহক ও লেনদেন বাড়ায় ব্যাংকগুলোর কাছেও এটিএম নিরাপত্তা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

গত কয়েক বছরে এটিএমের লেনদেনেও এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি শেষে মোট এটিএম ট্রান্সেকশন বা লেনদেন ছিল ২৯ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এক বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৭২৪ কোটি এবং ২০২১ সালে লেনদেন ছিল ১৬ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এখন দেশে ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে মোট কার্ডধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ১১ হাজার ৫৮ জন। এরমধ্যে ডেবিট কার্ডধারী ৩ কোটি ৬ লাখ ৫২ হাজার ২৪২ জন এবং ক্রেডিট কার্ডধারী ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৬ জন। আগের বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩০ এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩১ হাজার ৭৬০ জন গ্রাহক ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন দেশে এটিএম বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫২৪টি; যা এক বছর আগে ছিল ১২ হাজার ৮৯০টি। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে এটিএম বুথের সংখ্যা বেড়েছে ৬৩৪টি। তারও এক বছর আগে (২০২১) দেশে এটিএম বুথের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১১১টি। সুতরাং দুই বছরে ১ হাজার ৪১৩টি এটিএম বুথ বেড়েছে।


ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুথ ও লেনদেন বাড়ায় এখন বাড়তি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে এটিএম সেবায়। ঈদ কেন্দ্র করে বরাবরের মতো এবারও কিছু বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। ঈদে ব্যাংকের সব বিভাগের কর্মকর্তারা ছুটি পাবেন না। কারণ গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী এটিএম বুথে টাকা সরবরাহের প্রাথমিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে কিছু কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতেও কাজ করবেন। তা ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি এটিএম বুথের সঙ্গে একজন করে কর্মচারী তো আছেনই।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আগে অনেক গ্রাহক কার্ড নিতে চাইতেন না। এখন অনেকে কার্ডে ঝুঁকছেন। সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে ই-কমার্সে লেনদেন অনেক কমে গেছে। সেটি না হলে কার্ডে লেনদেন আরও বাড়ত।

করোনাকালে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের উৎসাহিত করেছে ব্যাংকগুলো। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাতের সব ব্যাংকই এখন প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এসব সেবায় যোগ হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, অনলাইন সিআইবি রিপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রি-পেইড কার্ড, ভিসা কার্ড এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির এটিএম। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন ও জমা, রেমিট্যান্স বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও বেতন-ভাতা প্রদান সবই সম্ভব।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার পর সব ধরনের কার্ড ও অনলাইন লেনদেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। শুধু তাই নয়, যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে এখন কার্ডে। গ্রাহকরা এটিএম থেকে বেশি টাকা তুলছেন, ক্রেডিট কার্ডেও বেশি খরচ করছেন। ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে (সিআরএম) রেকর্ড টাকা লেনদেন হচ্ছে। পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) মাধ্যমে কেনা কাটায়ও হয়েছে রেকর্ড।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেইন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সশরীরে ব্যাংকে লেনদেনের চেয়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনে সুবিধা হওয়ায় এর ব্যবহার বেড়েছে। ঈদ কেন্দ্র করে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোর অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। ব্যাংকের সব বিভাগের কর্মকর্তা ছুটি পান না। লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা অফিস করেন। তা ছাড়া কোনো ব্যাংকের শাখা বা এটিএমে ডাকাতি হলে ব্যাংকের খুব একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু সুনাম নষ্ট হয়। কারণ প্রতিটি ব্যাংকেরই ইনস্যুরেন্স করা আছে। যেটা বড় ব্যাকাপ। ঈদের ছুটিতে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে ব্র্যাকসহ সব ব্যাংকই সতর্ক থাকবে বলে আশাবাদী এই ব্যাংকার।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা