প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:১৯ পিএম
প্রতিবছরই ঈদের আগ মুহূর্তে বাজারে নতুন টাকার নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই ঈদ ঘিরে গ্রাহকদের কাছে নতুন টাকার আকর্ষণও একটু বেশি।
২০২২ সালে ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এবার ছাড়ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের ৩২টি ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে এসব নতুন নোট বিতরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শাখাগুলো থেকে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগের পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, ’এ বছর মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সমপরিমাণ টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন।’
গত রবিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন টাকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে চার ধরনের নতুন নোট (৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নোট) বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যেকোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।
যে ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে : এনসিসি ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা। পূবালী ব্যাংক, সদরঘাট শাখা, ঢাকা। জনতা ব্যাংক, আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, ঢাকা। অগ্রণী ব্যাংক, জাতীয় প্রেস ক্লাব করপোরেট শাখা, ঢাকা। রূপালী ব্যাংক, স্থানীয় কার্যালয়, ঢাকা। এক্সিম ব্যাংক, মতিঝিল শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক, রমনা করপোরেট শাখা, ঢাকা। ওয়ান ব্যাংক, বাসাবো শাখা, ঢাকা। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা। এনসিসি ব্যাংক, মালিবাগ শাখা, ঢাকা। অগ্রণী ব্যাংক, রামপুরা টিভি শাখা, ঢাকা। এবি ব্যাংক, প্রগতি সরণি শাখা, ঢাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক, বনানী শাখা, ঢাকা। ব্যাংক এশিয়া, বনানী-১১ শাখা, ঢাকা। আইএফআইসি ব্যাংক, গুলশান শাখা, ঢাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক, মহাখালী শাখা, ঢাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ঢাকা। প্রাইম ব্যাংক, এলিফ্যান্ট রোড শাখা, ঢাকা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক, নিউমার্কেট শাখা, ঢাকা। ব্যাংক এশিয়া, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক, মোহাম্মদপুর শাখা, ঢাকা। ব্র্যাক ব্যাংক, শ্যামলী শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক, জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, ঢাকা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মিরপুর শাখা, ঢাকা। এক্সিম ব্যাংক, মিরপুর শাখা, ঢাকা। দি সিটি ব্যাংক, বেগম রোকেয়া সরণি শাখা, ঢাকা। জনতা ব্যাংক, রজনীগন্ধা, ঢাকা (সাবেক কচুক্ষেত করপোরেট শাখা)। ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এসএমই অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, ঢাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গাউসুল আযম অ্যাভিনিউ শাখা, ঢাকা। রূপালী ব্যাংক, উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক, কোর্ট বিল্ডিং শাখা, গাজীপুর। মার্কেন্টাইল ব্যাংক, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ। এক্সিম ব্যাংক, শিমরাইল শাখা, নারায়ণগঞ্জ। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ। প্রিমিয়ার ব্যাংক, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, সাভার শাখা, সাভার ও ট্রাস্ট ব্যাংক, কেরানীগঞ্জ শাখা, কেরানীগঞ্জ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন বিল্ডিংয়ের নিচ তলা থেকেও নতুন টাকার নোট নিতে পারছেন গ্রাহক। কোনো ব্যক্তি যাতে একাধিকবার নতুন টাকা নিতে না পারেন এজন্য এনআইডি কার্ড দিয়ে টাকা নিতে পারছেন। এখান থেকেও একজন সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিতে পারছেন। তবে সকাল থেকে লোক বেশি হওয়ায় দীর্ঘ লাইন থাকছে এখানে।
এ কারণে ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই খোলাবাজার থেকে নতুন টাকা কিনছেন বাড়তি অর্থ খরচ করে। এতে গুলিস্তান ও মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনের অস্থায়ী নতুন টাকার বাজারও জমে উঠেছে। এসব বাজার থেকে প্রতি এক বান্ডিল নতুন টাকার জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি গুনতে হচ্ছে।