× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যক্ষ্মা রোগী সুরক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাজেটে

জাহিদুল ইসলাম

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫৩ পিএম

যক্ষ্মা রোগী সুরক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাজেটে

বাংলাদেশের জন্য যক্ষ্মা একটি বড় সমস্যা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। এসব রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত ওষুধ ইতঃপূর্বে দেশে উৎপাদন না হওয়ায় আমদানির ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠান ওষুধ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ওষুধ উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এনবিআরকে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ উৎপাদনে মূসক থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এনবিআর সব সময়ই দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মূসক অব্যাহতির বিষয়ে বিবেচনা করছে রাজস্ব বোর্ড।

জানা গেছে, বর্তমান সময়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, দেশব্যাপী জীন এক্সপার্ট মেশিনের সাহায্যে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব। তাই শনাক্তও বেশি হচ্ছে। প্রতিবছর সরকার প্রায় তিন লাখ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

এনবিআর সূত্র জানায়, এর আগে এসআরও জারির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের আমদানি পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এর আগে দেশে এই রোগের ওষুধ উৎপাদন হতো না। তাই স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের ওপর কোনো মূসক অব্যাহতিরও প্রশ্ন ছিল না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যক্ষ্মা রোগের ওষুধ দেশে উৎপাদন হওয়া ওষুধ শিল্পের জন্য বিরাট সাফল্য। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও সরকারি বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে আরও বেশি ওষুধ কেনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা। ফলে সরকারের যক্ষ্মা নিরোধ কর্মসূচি আরও বেগবান হবে বলে মত তাদের।

গত ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৩-এর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং ওষুধ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।

জানা গেছে, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেড, এসিআই হেলথ কেয়ার লিমিটেড, নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেড ও কেমিস্ট ল্যাবরেটরিস লিমিটেড যক্ষ্মা রোগের ওষুধ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোম্পানিগুলোর ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে এনবিআরের এই উদ্যোগ অনেক সহায়ক হবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি মিনিটে একজন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন রোগটিতে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যা দৈনিক ১৮৫।

সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক ৮৪২ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা