× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ে ভাটা

যশোর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৫ এএম

বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ফটো

বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ফটো

বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট, ভারতীয় রুপির বিপরীতে টাকার মান হ্রাস পাওয়াসহ নানা কারণে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য আমদানিতে ভাটা পড়েছে। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল দিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সেখানে আদায় করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৯ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের এ সময়ে আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৮ মেট্রিক টন। এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কম হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৯৪১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন। আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আদায়ও কমেছে।

তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছিল। সে সময় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। 

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, সেখানে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ওই বছর ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কাস্টসমের নানা হয়রানি আর বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের কারণে অনেক ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করছেন। ফলে দিন দিন এ বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কমে যাচ্ছে। যে কারণে এ কাস্টম হাউসে শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না।

যশোরের আমদানিকারক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা মোটর পার্টস আমদানি করে তা সারা দেশে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে যশোরের কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। যে কারণে আমরা পণ্য আমদানি করতে পারছি না। পণ্য আনতে না পারার কারণে ব্যবসায়িকভাবে লোকসান হচ্ছে। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যে কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেকাংশ কমে গেছে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে ব্যাংক এলসি খুলছে না। এতে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারছেন না। 

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি এটা বলা যাবে না। আমরা রাজস্ব অর্জনের একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি। কোনো কোনো মাসে আমদানিকারকরা বেশি মাল আমদানি করেন। তখন লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক রাজস্ব আহরণ হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো মাসে আমদানিকারকরা কম মালামাল আমদানি করেন। সে ক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণ কম হয়ে থাকে। 

দেশে ডলার সংকটের কারণে রাজস্ব আহরণ অর্জনে কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সমস্যা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা ভালো করেছি।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা