প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:০১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে বেড়ে গেছে শিল্পকারখানার উৎপাদন খরচ। যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। অপ্রত্যাশিত খরচ মেটাতে প্রতিদিন নিত্যপণ্যের তালিকা ছোট করছে সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যদি বিশ্বের নীতিনির্ধারকরা শ্রম সরবরাহ, উৎপাদনশীলতা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করে তবে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দশক দেখতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি বলছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ২ শতাংশে অবস্থান করতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধি হ্রাসের দশকের সূচনা করবে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়, গত কয়েক বছরে একের পর এক বৈশ্বিক সংকট যেমনÑ কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, প্রায় তিন দশকের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অবসান ঘটিয়েছে। উৎপাদনশীলতা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলস্বরূপ জিডিপির গড় সম্ভাব্য বৃদ্ধি ২০২২-৩০ পর্যন্ত সময়ের জন্য ২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০১১-২১ পর্যন্ত ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০০০-১০ সাল পর্যন্ত ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে কম বিনিয়োগ উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মন্থর করবে। ফলে এখানে গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২০-৩০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৪ শতাংশে নেমে আসবে, যা ২০১১-২১ সালে ছিল ৫ শতাংশ এবং ২০০০-১০ সালে ছিল ৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি প্রত্যাশিত হারে না বাড়লে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণে গভীর প্রভাব পড়বে। কিন্তু টেকসই খাতে বিনিয়োগ বাড়লে, বাণিজ্যে খরচ কমলে, পরিষেবাগুলোতে খরচ কমানো এবং শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়লে সম্ভাব্য জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। ফলে গড় জিডিপির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্ডারমিট গিল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া নীতিগুলো উত্পাদনশীলতা বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি ও বিনিয়োগ ধীর করতে পারে।
একইরকমভাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস প্রদান দলের পরিচালক আয়হান কোস সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বব্যাংক এ খাতের উন্নয়নের দিকে নজর রাখছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং আর্থিক অবস্থার কড়াকড়ি উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়িয়ে দেয়। আমরা যে মন্দার বর্ণনা দিচ্ছি তা আরও তীব্র হতে পারে।’ সূত্র : রয়টার্স