× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আমানত বাড়ছে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে

জয়নাল আবেদীন

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৬ এএম

আমানত বাড়ছে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে

এক বছরের ব্যবধানে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে ১৬ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চার দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। ব্যাংকাররা বলছেন, মাঝে গুজবের কারণে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও এখন তা কেটে গেছে। তাই আমানতও বাড়তে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাফর আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও এখন ব্যবসায় কিছুটা গতি এসেছে। মানুষ আবারও ব্যাংকমুখী হচ্ছে। তা ছাড়া গুজবের কারণে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল তাও কেটেছে। কারণ রেমিট্যান্স বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যাংক গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে ছিল ১৮তম। এখন আমাদের অবস্থান চতুর্থ। রমজান ও কোরবানি উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে। ফলে এ প্রান্তিকে আমানত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মোট আমানত চার লাখ ৯ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল তিন লাখ ৯৩ হজার ১১১ কোটি টাকা।

তবে বছর ব্যবধানে আমানত বাড়লেও ত্রৈমাসিক হিসাবে ইসলামী ব্যাংকগুলোতে আমানত কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং সংক্রান্ত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ৩ মাসে দেশের শরিয়াভিত্তিক ১০টি ব্যাংকের সম্মিলিত আমানত ১১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা কমেছে। ডিসেম্বরে এই ব্যাংকগুলোতে মোট আমানত ছিল তিন লাখ ৭৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৯১ হাজার ৭৯২ কোটি। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে আমানতের পরিমাণ আগের চেয়ে ৩ শতাংশ কমেছে।

ব্যাংকাররা জানান, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের অন্যরকম আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কোনো এলাকায় অন্য ব্যাংকের একটি নতুন শাখা খুললে যে পরিমাণ আমানত জমা হয়, ইসলামী ব্যাংকে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি জমা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা ইসলামী ব্যাংকের হিসাব খোলে এবং ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। একটি ব্যাংকের জন্য এ ধরনের আস্থা ও ভাবমূর্তি অর্জন করা বিরাট ব্যাপার।

দেশে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে আমানত ও ঋণের হিসাবে দেখা গেছে এক-চতুর্থাংশই ইসলামি ব্যাংকগুলোর দখলে রয়েছে। এখন পুরোদমে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে ১০টি ব্যাংক। এ ছাড়া আরও ২৩টি ব্যাংক উইং ও উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনা করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে এখন প্রবাসী আয়ের ২৭ দশমিক ০৪ শতাংশই আসে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। সবচেয়ে বেশি আসে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে। তাদের অংশ ৫০ দশমিক ০১ শতাংশ। সাধারণ ব্যাংকের চেয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলোর ব্যবসা দ্রুত বড় হচ্ছে। এ নিয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই মূলত গ্রাহকরা ইসলামি ব্যাংকে আসেন।

দেশে ইসলামি ব্যাংকগুলোর শাখার সংখ্যা দুই হাজার ২১৭টি, যেখানে দেশের গোটা ব্যাংক খাতে শাখার সংখ্যা ১১ হাজার ১৫৩টি। এ ছাড়া ১১টি প্রথাগত ব্যাংকের ৫৩৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা