প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠী চরবাসীকে পেছনে রেখে এসডিজি, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যগুলো কোনোভাবেই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং চরবাসীর সামগ্রিক উন্নয়ন’ বিষয়ক এক অনলাইন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, চরে বসবাসরত প্রায় এক কোটি মানুষ বিভিন্নভাবে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য কমিয়ে তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে হবে। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রহণযোগ্য কার্যকর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। চরের মানুষের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়নে সঠিক নির্দেশনা থাকতে হবে। চরের যুবসমাজকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে চরের মানুষের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে চর বোর্ড বা চর ফাউন্ডেশনের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন করতে হবে। এ ছাড়াও জাতীয় চর নীতিমালা তৈরির বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সেভ দ্য চিলড্রেন-এর পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার, এসকেএসের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি) জোসেফ হালদার, ওয়াটার এইডের অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট রঞ্জন কুমার ঘোষ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কামাল উদ্দিন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. খাদেমুল রাশেদসহ অন্যরা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কর্মরত উন্নয়ন সংগঠন ফ্রেন্ডশিপ, জিইউকে, কেকেএস, এসেডো, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।