সোহেল চৌধুরী
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম
প্রবা ফটো
কানাডার ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভেডার সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইউন কে তাম। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এবং অর্থনীতির হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধ খাত বিনিয়োগের বেশ আকর্ষণীয়। রপ্তানি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এখন দরকার প্রচার-প্রচারণা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সোহেল চৌধুরী
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ইউন কে তাম : বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভালো করছে। আমি যদিও একজন ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্ট মানুষ। ওষুধ নিয়েই বেশি চিন্তা করি। তারপরও বিভিন্ন আলোচনা বা তথ্যে যেভাবে দেখছি তাতে মনে হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আগের তুলনায় বিনিয়োগের পরিবেশও ভালো হয়েছে। এখানে নানা আলোচনায় বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে বেশ কিছু ধারণা পেলাম। মনে হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
ওষুধসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
ইউন কে তাম : বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বেশ শক্ত অবস্থানে আছে। এ ছাড়া পোশাক শিল্পেও বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে দরকার বাংলাদেশের মার্কেটিং। যত মার্কেটিং হবে ততোই লাভবান হবে বাংলাদেশ। কী কী পণ্য বাংলাদেশ করছে, কীভাবে করছে, খরচ কেমন হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানান দিতে পারলে রপ্তানি আয় বাড়বে পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে আরও উন্নতিতে আপনার পরামর্শ কী?
ইউন কে তাম : আমি আগেই বলেছি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বরাবরই ভালো করে আসছে। আশা করছি তাদের এই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্ভবত ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বেশ মনোযোগী হয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ খাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ করছে এবং প্রতিনিয়তই এ খাতে নতুন নতুন লোকবল যুক্ত হচ্ছে। এতে এ খাতের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা যদি উদ্যোক্তারা সঠিকভাবে নির্ধারন করে কার্যকর সমাধানে যেতে পারে তবে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ কারখানা এখন বাংলাদেশে-এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
ইউন কে তাম : এটা অবশ্যই ভালো খবর। কেননা কারখানা যত ভালোভাবে নির্মাণ হবে ততোই নিরাপত্তা বিষয়টি ভালো থাকবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবুজ কারখানা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অবশ্যই সুফল পাবে বাংলাদেশ। কেননা বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগে সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবুজ কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি মানে বিদেশিদের কাছে আরও ইতিবাচক অবস্থানে থাকা।