× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আইএমএফের প্রতিবেদন

খাদ্য ও পুষ্টিঝুঁকিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৬ পিএম

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৮ পিএম

সংগৃহীত

সংগৃহীত

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর শেষ হয়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। যুদ্ধরত দুটি দেশ যেহেতু বিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক, তাই তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ ক্ষতির কারণে অনেক দেশ ভীষণভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছে। 

শুধু দুই দেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাতেই ১০০ কোটি মানুষের বসবাস। ফলে এই বিপুলসংখ্যক মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে রয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড উচ্চতায় বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। তবে টানা ১১ মাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে খাদ্যপণ্যের দাম ১৯ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এদিকে যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরেও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট চলমান থাকতে পারে। এই শঙ্কা থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চলতি সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোর গড় স্তরের চেয়ে ওপরে ছিল। যদিও এটি এখন যুদ্ধের আগের অবস্থায় ক্রমশ ফিরে যাচ্ছে। এফএওর খাদ্যমূল্য সূচক থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী উদ্ভিজ্জ তেল, দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং খাদ্যশস্যের দাম কমেছে। তবে চিনি এবং মাংসের দাম গত বছরের শুরুর তুলনায় সামান্য বেড়েছে।

এদিকে আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সরকার এবং দাতাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য সহায়তা বাড়াতে হবে, বাণিজ্য ও বাজারের কার্যকারিতা সহজতর করতে হবে এবং ক্ষতিকারক ভর্তুকি বাদ দিতে হবে। 

বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার সংকট কাটাতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আরও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এফএও, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধানরা। 

ইউক্রেনকে সমর্থন করা তিনটি দেশ গিনি, হাইতি, মালাউকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে আইএমএফ। এ ছাড়া তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি নয়টি দেশ আইএমএফের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

এদিকে চলতি বছর ফসল উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। যদিও প্রথম ফসলি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে ব্রাজিল। এ সময় প্রতিহেক্টরে ৩ দশমিক ৫৩ টন সয়াবিনের ফলন হবে। মৌসুম শেষে সয়াবিন উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচারের ইউএসডিএ ফরেন অ্যাগ্রিকালচারাল সার্ভিস। তবে বৈরী আবহাওয়ায় ফলন কমার শঙ্কাও উঠে এসেছে ইউএসডিএর প্রতিবেদনে। 

এ বছর আর্জেন্টিনা ও চীনে চাহিদার তুলনায় সয়াবিনের উৎপাদন কমেছে। তবে বিশ্ববাজারে ব্রাজিল ৯ কোটি ৭০ লাখ টন সয়াবিন রপ্তানি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু চীনে ব্রাজিলের সরবরাহ করা সয়াবিনের চাহিদা কমেছে। ২০২১-২২ ফসলি মৌসুমের তুলনায় ২০২২-২৩ মৌসুমে চীনে সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। সামনে চাহিদার পরিমাণ আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। তবে চীনের এই চাহিদা কমাকে ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন স্তর বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ব্রাজিলের সয়াবিনের বাজারকে আঘাত করেছে। 

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাম তেলের উৎপাদনও ব্যাহত হতে পারে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন পরিসংখ্যানে সংশোধন আনতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ সংস্থা গ্যানলিং এসডিএন বিএইচডির পরিচালক এএইচ লিং। তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১ কোটি ৮৪ লাখ টন থেকে ১ কোটি ৯১ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার অনুমান করা হয়েছিল। তবে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদনে সামান্য সমন্বয় করা লাগতে পারে।

সূত্র : আইএমএফের ওয়েবসাইট


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা