প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪২ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান। এতে দেশের সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২-এ। নতুন সনদ পাওয়া কারখানা তিনটি হলো গাজীপুরের মণিপুরে এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস এক্সটেনশন প্রজেক্ট, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পিএন কম্পোজিট লিমিটেড ও গাজীপুরের দক্ষিণ ভাংনাহাটিতে ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয় এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস এক্সটেনশন প্রজেক্টকে। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠানটিকে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে সনদ দিয়েছে। একইভাবে পিএন কম্পোজিট লিমিটেডও স্বীকৃতি পায় প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে। প্রতিষ্ঠানটি ইউএসজিবিসির স্বীকৃতি পায় ২৬ ফেব্রুয়ারি। আর ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেড স্বীকৃতি পায় গোল্ড ক্যাটাগরিতে। প্রতিষ্ঠানটির সবুজ কারখানার স্বীকৃতি মেলে ২২ ফেব্রুয়ারি।
ইউএসজিবিসি চার ক্যাটাগরিতে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (লিড) সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও সার্টিফায়েড। আর এ চার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে প্লাটিনাম ৬৮, গোল্ড ১১০, সিলভার ১০ ও সার্টিফায়েড ৪টি কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া ৫৫০টির অধিক কারখানা রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে আছে।
কোনো কারখানা ১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্টের অধিক পেলেই ওই প্রতিষ্ঠানকে প্লাটিনাম সনদ দেয় ইউএসজিবিসি। একই সঙ্গে কারখানা ১১০ পয়েন্টের মধ্যে যদি ৬০ পয়েন্ট পায় তবে ইউএসজিবিসি ওই প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছে গোল্ড সনদ। এ ছাড়া ৫০ পয়েন্ট পেলে সিলভার সনদ ও ৪০ পয়েন্ট পেলে সার্টিফায়েড সনদ দেয় ইউএসজিবিসি।
সবুজ কারখানা নির্মাণে সফলতার জন্য ২০২১ সালে পৃথিবীর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজিএমইএ) লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ইউএসজিবিসি।
সংগঠনের তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সবুজ কারখানার তালিকায় ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড রয়েছে প্রথম স্থানে। একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার ৮টিই বাংলাদেশের।
অন্য দুটি কারখানার একটি ইন্দোনেশিয়ার ও একটি শ্রীলঙ্কার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০০ সবুজ কারখানার মধ্যে বাংলাদেশেরই রয়েছে ৫৩টি। যেখানে প্রতিযোগী চীনের ১০, ভিয়েতনামের ৪, ভারতের ৬, পাকিস্তানের ৯, তাইওয়ানের ৪, যুক্তরাষ্ট্রের ২, মিয়ানমারের ২ ও শ্রীলঙ্কার রয়েছে ৬টি। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, রোমানিয়া ও তুরস্কের রয়েছে ১টি করে প্রতিষ্ঠান।
সবুজ কারখানা নির্মাণ বৃদ্ধির বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ক্রেতারা এখন বেশ সচেতন। ক্রয়াদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনায় নেয়। আমরা কীভাবে জ্বালানি ব্যবহার করছি, পানির ব্যবহার কীভাবে করছি ইত্যাদি বিষয় ক্রেতেরা নজরে রাখে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই উদ্যোক্তারাও সবুজ কারখানা তৈরিতে বেশ মনোযোগী।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবুজ কারখানা সব দিক থেকেই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। তাই যারা সবুজ কারখানা করছেন বা করতে আগ্রহী তাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ সরকারের প্রতি।’