× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নরসিংদীতে তৈরি হচ্ছে স্থায়ী ঘাসের বাজার

নরসিংদী প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৪ এএম

হাইব্রিড ঘাস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর কৃষকরা। প্রবা ফটো

হাইব্রিড ঘাস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর কৃষকরা। প্রবা ফটো

সবজি চাষে ব্যাপক সুনাম রয়েছে নরসিংদীর। এ অঞ্চলের চাষিরা এবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গোখাদ্য হিসেবে ঘাস চাষ করে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন। কেননা বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ঘাস খুব সহজেই চাষ করা যায়।

তা ছাড়া অল্প খরচে ফলন বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা ক্রমেই ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলায় স্থায়ীভাবে একটি ঘাসের বাজার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণত গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত এসব ঘাসের কাটিং বা চারা একবার রোপণের পরে চার-পাঁচ বছর ঘাস পাওয়া যায়। চাষিরা তাদের রোপণ করা ঘাসের চারা প্রতি দুই মাস পর পর কাটিং করে তা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ঘাস কাটার সময় জমি থেকে দুই থেকে চার ইঞ্চি উঁচু করে কাটতে হয়, যাতে এখান থেকে আবার শাখা বের হতে পারে। প্রতি একর জমিতে এসব ঘাস প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টন উৎপাদন হয়। 

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মনোহরদী উপজেলায় ১৮ একর জমিতে ঘাস চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, সব ঠিক থাকলে ঘাসের উৎপাদন নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৭০ মেট্রিক টন ঘাস। এ অঞ্চলে নেপিয়ার, পাকচং-১, ইপিলিপিলসহ বিভিন্ন জাতের ঘাসের চাষ হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় নেপিয়ার ও পাকচং-১ জাতের ঘাস।

আরও জানা যায়, মনোহরদীতে বর্তমানে প্রায় ৫০ জন চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঘাস চাষ শুরু করেছেন। নিজেদের খামার অথবা বাড়িতে পালন করা গোখাদ্যের চাহিদা মেটাতেও ঘাস চাষ করছেন অনেকে। ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলায় স্থায়ীভাবে একটি ঘাসের বাজার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।

এদিকে উৎপাদন খরচ কম এবং খামারিদের কাছ থেকে ভালো দাম পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবেও ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মনোহরদীর চাষিরা। ঘাস চাষ করে ইতোমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন এলাকার অনেক কৃষক।

উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের চাষি সাইদুর রহমান বাকির বলেন, ‘প্রথমে নিজের গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে অল্প পরিমাণ জমিতে আমি পাকচং-১ জাতের ঘাসের চারা রোপণ করি। পরে গোখাদ্য হিসেবে এই ঘাসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমি জমি ইজারা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ শুরু করি। এ বছর তিন একরেরও বেশি জমিতে ঘাস চাষ করেছি। আমাদের উৎপাদিত ঘাস নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার খামারিরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

সাইদুর রহমান আরও জানান, প্রতিকেজি আস্তঘাস চার-পাঁচ টাকায় বিক্রি করেন। আর সাইলেজ করে (মেশিন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে) বিক্রি করলে প্রতিকেজি সাত-আট টাকায় বিক্রি হয়। খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। শুধু তিনি নন, ঘাস চাষ করে এ অঞ্চলের অনেকেই মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মনোহরদী অঞ্চলে উৎপাদিত এসব ঘাসে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও জিংক রয়েছে। এই ঘাস গাভির প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং গাভিকে বন্ধ্যত্ব থেকে বাঁচায়। এ অঞ্চলের চাষ করা ঘাস মানসম্মত হওয়ায় গবাদিপশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে, অন্যদিকে এর চাহিদা থাকায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার ঘাস চাষিরা। মনোহরদীর চাষিদের উৎপাদিত ঘাসের ফলন বেশি ও পুষ্টিগুণ ভালো থাকায় খামার পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বছরের যেকোনো সময় এসব ঘাস চাষ করা যায়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা