প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:১২ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:২২ পিএম
প্রবা ফটো
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ব্যাংকঋণের সীমা ২০২২ সালের জুলাই মাসে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদকরা ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই ঋণ সুবিধা চলতি ২০২৩ সালের পুরোটা সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এজন্য চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার হিসাবটি কার্যকর হবে না। তবে পরবর্তী ঋণসীমা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ২৬খ (১) অনুযায়ী আগে একটি কোম্পানিকে ব্যাংকের সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ প্রদানের সুযোগ ছিল না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক কোম্পানির ১৪ নম্বর আইনের ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিদ্যুৎ উৎপাদকদের এই সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংকঋণ দিতে গেলে অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করবে। তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদকরা যত ইচ্ছা ঋণ পাবেন।
একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে একটি ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ দিতে পারে। কোনো অবস্থায় এর বেশি ঋণ দিলে তা ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ (খ) ধারার লঙ্ঘন। আবার ব্যাংক কোম্পানি আইনে কোনো বিষয় উল্লেখ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজ থেকে সে বিষয়ে ছাড় দিতে পারে না। যে কারণে আইনের ১২১ ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশেষ এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইনের ২৬খ (১) ধারার নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে না। তবে ২৫ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমার জায়গায় ঋণসীমা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে। এর আগে গত জুলাই মাসে ছয় মাসের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়। ছয় মাস শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন করে আবার সময় বাড়ানো হয়।