প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৫ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৮ পিএম
প্রবা ফটো
গত ২১ ডিসেম্বর উঠিয়ে নেওয়া ১৬৯ টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর আবারও বসাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সই করা এক নির্দেশনায় ১৬৯ টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর ওঠা নামায় ‘ফ্লোর প্রাইস’ পুনরায় বসানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ২৮ জুলাই নির্দেশনা অনুযায়ী এসব কোম্পানির জন্য যে মূল্য ফ্লোর প্রাইস হিসেবে ছিল বা চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ৫ দিনের শেয়ার দরের গড়ের মূল্যের মধ্যে যেটা সর্বনিম্ন হবে সেটাই হবে ওইসব শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের বর্তমান ফ্লোর প্রাইস। বিএসইসির এই নির্দেশনার সঙ্গে ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ তালিকার বাইরে থাকা ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরে ফ্লোর প্রাইস গত ২৮ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বহাল থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
গত ২১ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়েছিল বিএসইসি। যা কার্যকর হয় পরের দিন (২২ ডিসেম্বর)। সেই সময় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ওইসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল ।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারের শেয়ারের দরপতন ঠেকাতে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল বিএসইসি। অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে সেই সময় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন পক্ষ থেকে সর্বনিম্ন দর উঠিয়ে নেওয়ার চাপ থাকায় টেস্ট কেস বা পরীক্ষামূলক হিসেবে ১৬৯ টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে এসব কোম্পানির শেয়ার দর অব্যাহত ভাবে কমেই চলছিল। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএসইসিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
এর আগে ২০২০ সালে দেশে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়। যা ঠেকাতে প্রথম বারের মতো ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল তৎকালীন বিএসইসি চেয়ারম্যান এম খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বধীন কমিশন।