× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে ভাটা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৫ পিএম

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে বেড়েছে পণ্যের দাম। ফলে কমতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। অপরদিকে চাহিদা কমায় উৎপাদন কমাতে শুরু করেছে বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। নেসলে এবং ইউনিলিভারের মতো প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, পণ্যের চাহিদা কমায় এখন উৎপাদন কমিয়ে খরচ বাঁচানোর কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।

এরই মধ্যে পণ্য উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্র্যাফট হেইঞ্জ ও কনাগ্রা ব্র্যান্ডস। নতুন কোনো পণ্য বাজারে আনার চেয়ে বহুল প্রচলিত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মন্ডেলেজের শীর্ষ বিপণন নির্বাহী মার্টিন রেনড বলেন, নতুন পণ্য বাজারে আনতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তবে এ মুহূর্তে আমাদের কঠোর হতে হবে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে উৎপাদন ও সরবরাহ সংকুচিত হওয়ায় কমেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্র্যাফট হেইঞ্জের শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ, নেসলের শূন্য দশমিক ৩১, কস্টকোর শূন্য দশমিক ৯২, ওয়ালমার্টের শূন্য দশমিক ২৭, কনাগ্রার শূন্য দশমিক ৩৮ এবং কেলগের শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এদিকে অনেক কোম্পানি করোনা মহামারি চলাকালীন সময় থেকে তাদের মূল্যছাড় কমানো শুরু করেছে। একই সঙ্গে কম জনপ্রিয় পণ্যগুলো বাদ দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হচ্ছে তারা। দীর্ঘ সময়ের মূল্যস্ফীতির মধ্যেও যে পণ্যগুলোর দাম বাড়ানো যাবে, সেসব পণ্যের দিকেই এখন তাদের মনোযোগ। কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করা আরও ব্যয়বহুল বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাপণ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ডেলয়েটের গবেষণা প্রধান জাস্টিন কুক। তিনি বলেন, ‘যে পণ্যগুলো ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, সেগুলোর দাম বাড়ানো সহজ নয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও দাম বাড়ানো যায় না। এতে সরবরাহ প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ে। 

গত বছর নেসলে তাদের পণ্য সরবরাহ কমিয়ে ১০৬ কোটি ডলার বাঁচিয়েছে। একই জায়গায় ইউনিলিভার সঞ্চয় করেছে ২০০ কোটি ডলার। সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য উৎপাদন কমিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করছে।

ইউনিলিভার ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত ৫ হাজার ধরনের পণ্যের উৎপাদন কমিয়েছে। একইভাবে খাদ্য প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাদের পণ্য উৎপাদন কমাতে শুরু করেছে। 

খাদ্যপণ্যের মধ্যে যেগুলোর উৎপাদন কমানো হয়েছে তার মধ্যে বেশি রয়েছে মুখরোচক খাবার। এদিকে মন্ডেলেজের সিইও ডার্ক ভ্যান ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকদের বলেছিলেন, পুরোনো পণ্যগুলোকে নতুন পণ্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করার ক্ষেত্রে একটা স্পষ্ট নিয়ম হচ্ছে, ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট।’ অর্থাৎ নতুন একটা আনার পরে আগেরটা বাজার থেকে তুলে নেওয়া যাবে।

এদিকে খুচরা বিক্রেতারাও তাদের বিক্রি বাড়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অধিক চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে জোর দিয়েছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে সরবরাহকারীরা উৎপাদন কমানোর জন্য খুচরা বিক্রেতার দাবি মেনে নিতে পারছেন না। 

যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যছাড়ে খুচরা পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পণ্যের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের ওপর খরচের চাপ বৃদ্ধি করেছে। তাই দামের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য সরবরাহকারীদের কাছ থেকে তারা আরও তথ্য চেয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জন ডেভিড রেইনি বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে, দামের উদ্বেগগুলো এ সময়ে আরও বাড়তে পারে। কিন্তু এমন অবস্থায়ও আমরা পণ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।’

সূত্র : রয়টার্স


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা