× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে দ্রুত ২৫ হাজার কোটি টাকা চায় পিডিবি

আসিফ শওকত কল্লোল

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৮ এএম

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২৪ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

গত বছর জুন থেকে সময়মতো ভর্তুকির অর্থ পায়নি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তার ওপর এখন চলছে ডলার সংকট। এ কারণে জ্বালানি কিনতে না পারায় ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদকরা।

তারা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত তরল জ্বালানি মজুদ রাখা প্রয়োজন। সময়মতো আর্থিক সহায়তা না পেলে তা সম্ভব হয় না।

অর্থ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এভাবেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চিঠিতে গত চার মাসের পিডিবির লোকসানের ২৫ হাজার কোটি টাকা (ভর্তুকি হিসেবে) দ্রুত ছাড় করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর বেসরকারি খাতে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (আইপিপি), রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বিতরণের পর ভর্তুকি বাবদ ২৫ হাজার ২২১ কোটি টাকা দরকার।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, কয়লা ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।

তাছাড়া ২০২০ সালের জুন থেকে ফার্নেস অয়েলের আমদানি শুল্ক ও কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করায় শুল্ক বাবদ প্রায় ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিদ্যুতে ভর্তুকির তহবিল তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এ তহবিলে আছে মাত্র ২০০০ কোটি টাকা। গত বছর নভেম্বর থেকে ভর্তুকির ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে, যা এ খাতে মোট বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ ছিল। এ দিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বাজেটে বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি রাখবে কি না সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ভর্তুকি দিতে না চাইলে বিদ্যুতের দাম তৃতীয়বারের মতো বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, পিডিবি থেকে প্রতি মাসে ভর্তুকির দাবি আসে। বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয় তা দিয়ে তাদের চাহিদা মেটে না। তাই পরবর্তী বাজেটের অর্থ দিয়ে আগের বাজেটের চাহিদা মেটাতে হয়। সারা বছরের আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করেই বাজেট প্রণীত হয়। কোনো খাতে অতিরিক্ত অর্থ দিলে তখন বাজেট ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়ে।

গত বছর নভেম্বর মাসে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত জানুয়ারিতে দুই বছর পর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলছেন, ‘পিডিবির কেন খরচ বেড়ে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।’

বিদ্যুৎ, এলএনজি, নগদ সহায়তা, খাদ্য, রপ্তানি প্রণোদনা এসব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।

গত কয়েক মাসে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও চলতি অর্থবছরে সরকারকে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাড়তি ভর্তুকি গুনতে হতে পারে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রের খবর।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা