হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৯ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে আদানি গ্রুপের লোকসান হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। গুজরাটের আহমেদাবাদে আদানি গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে কোম্পানাটির লোগো। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আদানি গ্রুপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গের আলোচিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে কোম্পানিটার লোকসান হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। আর এ দিনই দেশটির সংসদের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠেছে তা ভয়াবহ। তাই জনস্বার্থকে আমলে নিতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পার্লামেন্ট বা সুপ্রিম কোর্টকে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে হবে। অথবা যৌথ কমিটিও করা যেতে পারে। আর তদন্ত চলাকালে প্রতিদিনের হালনাগাত করতে হবে, যাতে মানুষ স্বস্তি পায়।’
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গ্রুপ নিয়ে ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, গ্রুপটি প্রকৃত মূলধনের চেয়ে বেশি মূলধন দেখাচ্ছে। তারা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিবাজার থেকে যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছে, তা ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা তাদের নেই। তাদের হিসেবে বেশ অস্বচ্ছ। করপোরেট জগতে এত বড় কেলেঙ্কারি আর কেউ করেনি।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে শেয়ারবাজারে আদানি গ্রুপের দরপতন হতে থাকে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে মূলধন হারিয়েছে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) নতুন শেয়ার (এফপিও) বিক্রি বাবদ ২৫০ কোটি ডলার উত্তোলন করেও তা গ্রাহকদের ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে গ্রুপটি।
আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের কথা সবার জানা। মূলত মোদি সরকারের বদান্যতায় কোম্পানিটা অন্যায্য ব্যবসায়িক সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা।