প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৩ পিএম
বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির প্রচুর সুযোগ থাকলেও আন্তর্জাতিক নীতি ও কোডেক্স না মানার কারণে সেগুলো বৈদেশিক বাজার হারাচ্ছে। এজন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন গ্লোবাল কোডেক্সের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় দাভে।
রাজধানী ঢাকার বিআইআইএসএস অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’-এর আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
সঞ্জয় দাভে বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সুযোগ রয়েছে খাদ্য ও কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করার। কিন্তু এখানে কোডেক্স নীতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ফলে রপ্তানি বাজার হারাতে হচ্ছে। ভারত এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে।’
গ্লোবাল কোডেক্সের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ’২০০৭ সালে ভারত মোট খাদ্যপণ্য রপ্তানি করত ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালে ৪৩ বিলিয়ন ও ২০২১ সালে করোনাকালে কিছুটা কমে ৩৫ বিলিয়নে নেমে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের অংশ ২০০৭ সালে ছিল এক শতাংশ, ২০১৬ সালে ১.৪ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২.২ শতাংশ। একই সময়ে কৃষিবাণিজ্য ছিল জিডিপিতে ১৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১৬ ও ২০২১ সালে তা ১৭.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ’আমরা শিগগিরই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন।’
খাদ্য সচিব বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে পারছি না। উৎপাদন, যোগাযোগ, বাজার ও রন্ধনপ্রণালীসহ সব ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপদ রাখতে হবে।’