× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিনির দাম বাড়লেও সরবরাহ কম

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চিনির দাম এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে নতুন দাম ঘোষণা করা হলেও তার ছিটেফোঁটাও চোখে পড়েনি বাজারে। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে। 

নতুন দর অনুযায়ী প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। যদিও বাজারগুলোতে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। বাড়তি দরে চিনি বিক্রির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও নতুন দরের চিনি আসেনি। 

শ্যামলী নতুন কাঁচাবাজারের বিক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, ‘শুনছি চিনির নতুন দাম ঠিক করছে। তবে এখনও হাতে নতুন দামের চিনি পাইনি। যার কারণে আগে যে বাড়তি দরে চিনি কেনা, সেই দামেই বিক্রি করতাছি। আগের বাড়তি দর বলতে খোলা চিনি ১০২ টাকার বিপরীতে ১১০ টাকা কেনা পরে, বিক্রি ১১৫ করছি। আর প্যাকেটজাত চিনি কিনতে পাওয়া যায় না।’

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ‘বাজারে তো চিনির সরবরাহই কম। চিনি যদি আমরা ন্যায্য দামে পাই তবেই ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারি। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হয়। আমরা দোকানদাররা চাই চিনির সরবরাহ ও দাম সব সময়েই ঠিক থাকুক। চিনি পামু বিক্রি করমু, না পাইলে কেমনে বিক্রি করমু কন।’

কারওয়ান বাজারে চিনির পাইকারি বিক্রেতা নৌফেল মিয়া বলেন, ‘৫০ কেজি বস্তার চিনির এখনও সরবরাহ কম। ভাবছিলাম এবার তো দাম বাড়ছে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। তবে স্বাভাবিক হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো এখনও চিনি সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি। আশা করছি, দুই-তিন দিনের মধ্যে হাতে পাব নতুন দরের চিনি।’ কোম্পানিগুলো বলছে, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না।’

আরেক পাইকারি বিক্রেতা মাসুম মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ কেজি খোলা চিনির বস্তা বিক্রি করছি ৫ হাজার ৩৬০ টাকায়। বেচাকেনা কম। খুচরা বিক্রেতারা চিনি কিনতে তেমন আসছে না। কারণ, বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় এখন দোকানে চিনি ওঠায় না। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করতে না পারলে মামলা হওয়ার ভয়ে খুচরা দোকানিরা এখন চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছে। কারণ, কয়দিন পর পর ম্যাজিস্ট্রেট আসে আর জরিমানা করে।’

এদিকে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দরে চিনি বিক্রি হওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। মোহাম্মদপুর টাউন হলের ক্রেতা রাসেল সিকদার বলেন, ‘কী অদ্ভুত বিষয়, দাম বাড়ার পরও চিনি ঠিকমতো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে আর কতদিন চলতে থাকবে। বাজারে দুই-তিন মাস ধরে একই অবস্থা চলছে। সামনে রমজান মাস জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ভয়েই আছি।’

আরেক ক্রেতা রুবায়েত হোসেন বলেন, ‘চিনির বাজারটা তাড়াতাড়ি ঠিক করা দরকার। এভাবে বাজারে চিনি না পেলে খুব অসুবিধা হয়। আমরা সাধারণ ক্রেতা নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি কিনতে এসে অতিরিক্ত দাম দিয়েও পাচ্ছি না। বাজারের পরিস্থিতি খুব দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন এবং নিত্যপণ্যের দামের বিষয়টি নজরদারিতে রাখা দরকার।’

একই অবস্থা ঢাকার বাইরের খুচরা দোকানগুলোতে। নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা না করেই চলছে চিনি বিক্রি কার্যক্রম। সাভারের আমবাগান এলাকার মুদি পণ্য বিক্রেতা মোহাম্মদ জামান মিয়া বলেন, ‘খোলা চিনি এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই। নতুন দামের চিনি এখনও হাতে আসেনি।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা