প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৪ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৫ পিএম
প্রবা ফটো
সরকার আশা করছে দেশের ব্যয় সংকোচন, কৃচ্ছ্রতা সাধন নীতি ও অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমিয়ে আনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে স্থিতিশীল করবে। ফলে আগামী জুনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার (৩৭.৭০ বিলিয়ান ডলারে) পৌঁছবে। সম্প্রতি কাউন্সিলের সভায় উপস্থাপিত অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে এমন আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
অর্থবিভাগের অনুমান অনুসারে, এ সময়ে আমদানি কমবে ৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে বাড়বে ৪ শতাংশ। ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.৫ শতাংশ হবে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার পেছনে ৪টি কারণ দায়ী বলে জানানো হয়েছে। এর কারণগুলো হলো-ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৩০ কোটি ডলার। যা এক বছরের আগের তুলনায় ২৮.৫ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলে ও এলএনজরি মূল্য ক্রমশ কমছে। এর ফলে দেশের মূল্যস্ফীতি কমে আসবে । এর ফলে আগামী জুন নাগাদ দেশের মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যয়ে নেমে আসবে । ২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পরবর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে তা আরও কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে ।
অর্থ বিভাগ তার নতুন অনুমানে আরও বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমাতে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে আমদানি অনেক কমে যাবে। সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ২.৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখা, রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো এবং নতুন অভিবাসী কর্মীদের বৃদ্ধি ইতিবাচক রেমিট্যান্স বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য বাজেট সহায়তা প্রত্যাশিত।
অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছে, ‘দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো রেখে লাভ নেই। এখন আমদানি অনেক কমে গেছে। আমদানি বাড়ালে নিত্য পণ্যের দাম কমে আসবে। তাই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে সত্য হতে খুব ভালো বলে মনে করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি রিজার্ভ এভাবে বাড়ানো হয় তবে বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য আর চলতি হিসাবেও অবশ্যই উদ্বৃত্ত হবে। কিন্তু এখনও দুইটি হিসেবে সেই অবস্থা নেই।’