প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৮ পিএম
প্রবা ফটো
গত শীত মৌসুমে সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম ছিলো বেশ চড়া। তবে এবারের শীতের চিত্র একবোরেই ভিন্ন। নানা প্রকার সবজিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দামটাও রয়েছে ক্রেতার হাতের নাগালে। মানভেদে প্রতি কেজি সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ টাকা দরে। তবে বেড়েছে মাছের দাম। প্রকারভেদে প্রতি কেজি মাছের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় , পেঁয়াজ ফুলের আটি ১০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, নতুন আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, শসা ও টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের নিয়মিত ক্রেতা রাহেল তালুকদার বলেন, এ বছর সবজির দামটা বেশ কম। তৃপ্তি সহকারে খেতে পারছি। সব সবজিই গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ টাকা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভাল তাই দামটাও গতবছরের তুলনায় কম। এবছর ফলনটা মনে হয় ভালো হইছে তাই সরবরাহ বেশি, দাম কম। আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে সবজি পেলে কম দামেই বিক্রি করতে পারি।
সবজির দাম কম হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের বাজার। কুয়াশার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে পাঙ্গাস মাছ গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। রুই মাছ গত সপ্তাহে আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে দাম উঠেছে ৩১০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। শিং মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতা রহিছ মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার বাইরে থেকে গাড়িতে করে মাছ বাজারে ঢুকতে সময় লাগছে। একইসঙ্গে জেলেরাও নদীতে কুয়াশার কারনে মনে হয় মাছ ধরতে পারছেনা। এ কারণে হয়তো মাছের দর কিছুটা বাড়তি।
মহাখালি কাঁচাবাজারের ক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, মাছের দামটা হুট করেই মনে হয় বেড়ে গেল। কি কারণে বাড়লো তা বুঝে উঠতে পারছি না। বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ কিছুটা কম। তবে দাম কম হলে সুবিধা হয়। অন্যথায় বাজারের চড়া দামে মাছ মাংস কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরণের মুরগির দাম। বাজারে প্রতি কেজি ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। এছাড়া লাল কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। আর পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে।
বাজারে নতুন ধান উঠায় কমতে শুরু করেছে সব ধরণের চালের দাম। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে টাকা ৫৫ টাকায়। যা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকায়। একইসঙ্গে সুরু চাল (মিনিকেট বা নাজিরশাইল) গত সপ্তাহে ৫৮ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৭৫ টাকা দরে।