× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পর্যটনে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বেশি প্রয়োজন : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২৬ পিএম

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৫৯ পিএম

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রবা ফটো

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রবা ফটো

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে ২২টি এয়ারপোর্ট পড়ে আছে, সেগুলো পর্যটনের জন্য সংস্কারের প্রয়োজন। আমরা অর্থনৈতিক চাপে আছি, সেজন্য টাকা ধার করছি। ধার করা কোনো পাপ নয়। এ ছাড়া যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা যাতে আত্মবিলাসী প্রকল্প হাতে না নেয়। 

বুধবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ট্যুরিজম : এ প্যানাল্টি শুট ফর দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ-১০’ সিরিজের ‘পোস্টকোভিড-১৯ ট্যুরিজম : কি টুলস টু অ্যাচিভ দ্য এসডিজিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-এসডিএফের চেয়ারপারসন সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম পুলিশের ডিআইজি মো. ইলিয়াস শরিফ, এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মফিজুর রহমান, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনার একটি বৈপরীত্য আছে। এখন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চলছে বিশ্ব। আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেশি নয়। অনেক সময় ধার-কর্জ করতে হয়। পর্যটনে হোটেল-মোটেলে ব্যক্তি খাতেই এগিয়ে আসতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, এসব সমাধান করা দরকার। অভ্যন্তরীণ পর্যটনস্থানে সাধারণ কাজ, যেমন টয়লেটে বসার, পানি পান, কাপড় বদলানোর ও শিশুর দুধপানের জায়গা তৈরি করেন। 

তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক চাপ যাচ্ছে। এটি পার হতে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। যতটুকু ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। ঋণের টাকা কোথায় কাজে লাগাচ্ছে সেটি দেখতে হবে। ঋণের টাকায় কফি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে হবে না।

প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, পর্যটনে প্রণোদনা দিতে হবে। আমাদের অনেক অপরিকল্পিত কাজ হয়েছে। এসবের কোনো অর্থ নেই। পর্যটনে উদার হতে হবে। অর্থাৎ যাদের যা দরকার তা দিতে হবে। 

আব্দুস সামাদ বলেন, বিশ্বে পর্যটনের আয়ের ক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে চীন, থাইল্যান্ড এগিয়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেক দেশ লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনার্জি ক্রাইসিসের কারণে ইউরোপীয়দের আগমনকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার। শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন প্যাকেজ সুবিধা দিয়ে গত মাসে ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। 

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে বিশ্বে অনেক দেশের মধ্যে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশকে পরিকল্পিত পর্যটনস্থানে পরিণত করতে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৩-৪ শতাংশ অথচ বিশ্বে ১০ শতাংশ। ব্লু ইকোনমিতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। 

বাংলাদেশ ট্যুরিজম পুলিশের ডিআইজি মো. ইলিয়াস শরিফ বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ২০১৩ সাল থেকে পর্যটকদের জান ও মালের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে। আমরা কাঙ্ক্ষিত অর্থনীতি অর্জনে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। 

শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে বিনিয়োগের সম্পর্ক রয়েছে। পর্যটন সম্পদগুলোকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম ব্যবহার করতে পারে। পর্যটনের ক্ষতি ১০০ ভাগ পূরণ করা সম্ভব।

আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটন ১০৯টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এতে ১১৩টি উপখাত জড়িত। বাংলাদেশের পর্যটন ১১টি এসডিজির সঙ্গে যুক্ত। দেশে ২ হাজার ৩৪৬টি পর্যটনস্থান আছে, এর মধ্যে ১৬টি সমুদ্রসৈকত। ১০টির অবস্থা বিশ্বে ভিন্ন যা অন্য কোথাও নেই। দেশে ৪ কোটি যুবক আছে আর ২০৩৩ সালে ৩৫ লাখ কাজ সৃষ্টি হবে পর্যটনে। ২০১৯ সালে প্যারিসে ৯ কোটি পর্যটক গেছে। 

তিনি বলেন, দেশে ১ লাখ ৯ হাজার কোটিপতি আছে। ২০২১ সালে ৩ কোটির ওপরে ডোমেস্টিক ট্যুরিস্ট ভ্রমণ করেছেন। ২৯ লাখ মানুষ ভারতে যায়। শ্রীলঙ্কায় বছরে ২২ লাখ রাশিয়ান আসে। দেশের ২২টি এয়ারপোর্টের মধ্যে ১৫টি ব্যবহৃত হয় না।  


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা