প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৮ পিএম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ ডলারেরও বেশি কমেছে। ফলে অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ ডলার ১৭ সেন্ট বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৭৯ ডলার ৪ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ ডলার ৮২ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ ডলার ২৯ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় ব্যাপক হারে চাহিদা কমেছে। ফলে শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। ওদিকে ব্যাংকঋণের সুদের হার বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। উচ্চ মূল্যস্ফীতি রোধে সুদের হার বাড়ানোকেই হাতিয়ার হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। তবে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার সময় সুদের হার বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে বাজারে। পারিবারিক ব্যয় থেকে শুরু করে শিল্পোৎপাদন খরচ বাড়ায় চাহিদা ব্যাপক হারে কমতে শুরু করেছে। ফলে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে শিল্প কারখানাগুলো। তাই বিশ্ববাজারে আবারও কমল জ্বালানি তেলের দাম।
জ্বলানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিজুহোরের পরিচালক রবার্ট ইয়াওগার বলেন, " বিশ্বজুড়ে যখন জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধির কিছুটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তখনই আবার সুদের হার বাড়ানোয় তা নিম্নমুখী হচ্ছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আবারও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে নেমে যেতে পারে। ফলে জ্বলানি তেলের বাজারে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।"
অপরিশোধিত জ্বালানি ব্রেন্ট এবং ডব্লিউটিআই উভয়েরই দামই গত সপ্তাহে বেড়েছিল। ব্রেন্ট ক্রুড অক্টোবরের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। তবে এখন জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে জ্বালানি তেল সরবরাহের মাধ্যম কিস্টোন পাইপলাইন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকলেও দুটি দেশের জ্বালানি তেলের শক্ত মজুদ আছে। যদিও সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা থাকলেও সেভাবে বাড়েনি বলে উল্লেখ করেছেন বাজার বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান কেপলারের প্রধান তেল বিশ্লেষক ম্যাট স্মিথ। তবে জ্বালনি তেলের মজুদ শক্ত রাখতে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশীয় জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা কিছুটা হলেও দেশীয় জ্বালানি তেল উৎপাদকদের স্বস্তি দিয়েছে।