প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:১৭ পিএম
প্রবা ফটো
ব্যাবসায়ীরা এলসি বা ঋণপত্র খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চেয়েছেন। যদিও দেশের ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ডলার সংকট সমাধানের সক্ষমতা অর্জন করবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ধরনের নীতি সহায়তা দেবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) এক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ইডিএফ ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনায় নেবে। করোনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল। এই সুবিধার মেয়াদ চলতি ডিসেম্বরেই শেষ হবে। তাই আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। এ বিষয়টিও আমরা দেখবো।
তিনি আরও বলেন, করোনার মতো নীতি সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাই এ ঋণগুলো নিয়মিত রাখার জন্য নীতি সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতির স্বার্থে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। এলসি খোলায় যাতে সমস্যা না হয় এজন্য ৮টি পণ্যের বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে, প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মে. জসিম উদ্দিন আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। কভিডের ক্ষতি কাটিয়ে উঠলেও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনো সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি। তাই এ দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠন। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে (জুন ২০২৩) ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে ব্যাংক তাঁদের খেলাপি না করে, সেই সুবিধা চেয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপিতে পরিণত হবে। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ খেলাপি না করানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।