প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫ ১৩:১৭ পিএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫ ১৩:১৮ পিএম
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চার দিনের কলম-ধর্মঘটের পর গতকাল শনিবার কর্মকর্তারা করদাতাদের পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন।
আজ ওই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।
ঐক্য পরিষদের মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, ‘সংকট সমাধানে এনবিআরের কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছেন। এ নিয়ে আজ বিকালে আমরা অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে আলোচনায় বসতে পারি।’
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন। সকাল থেকে সারাদেশের এনবিআর কর্মকর্তারা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় এনবিআর সদর দপ্তরের ভেতরে ও বাইরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভবনটিতে প্রবেশ ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেককে এনবিআর প্রাঙ্গণে প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এসময় তারা এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
গতকাল বিবৃতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, তাদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি আজ রবিবারও চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কমপ্লিট শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
প্রশাসনিক অনিয়ম, কর্মকর্তাদের হুমকি ও সংস্কারবিরোধী কার্যকলাপে এনবিআর চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তার অপসারণ ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এ মাসের শুরু থেকে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা কর, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি, অনশন ও মানববন্ধন করে আসছেন, যার ফলে এসব সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
গত ১২ মে সরকারের এক অধ্যাদেশ জারির পর এই আন্দোলন শুরু হয়, যার মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতিনির্ধারণ বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।