মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম, হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫ ১৮:৪২ পিএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৫ ১৮:৪৫ পিএম
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে দিনাজপুরের হিলি বন্দরের মসলা বাজারে বেচাবিক্রি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের মসলা বাজারের চিত্র আলাদা। কমেছে সব ধরনের সাদা এলাচ-জিরার দাম।
প্রকারভেদে এলাচে কমেছে কেজিতে ৪০০ টাকা, আর জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে কম দামে মসলা কিনতে পারায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। তবে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে এসব মসলার দাম কমেছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
গত সোমবার হিলি বন্দরে মসলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাদা এলাচের দাম কেজিতে ৪০০ টাকা কমে প্রকারভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা কেজি দরে। কালো এলাচ ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে। দারুচিনি ৪২০ থেকে ৫৬০ কেজি, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা ও গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা কমে জিরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ কেজি দরে।
বাজারে আসা স্থানীয় ক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে সব মসলার দাম অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এবার দাম কিছুটা কমে গেছে। কম দামে প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে পেরে খুশি হলাম।
বগুড়া (শিবগঞ্জ) থেকে আসা মতিয়ার রহমান বলেন, হিলি বাজারে কিছুদিন আগেও এসেছিলাম, জিরাসহ সব মসলার দাম অনেকটা বেশি ছিল। কিন্তু আজ (সোমবার) দেখি জিরার দাম কমেছে। তাই দুই কেজি কিনলাম।
মসলা কিনতে আসা আখের আলী বলেন, আমার বাসা রাজশাহীতে। কোরবানির ঈদে বাসায় অন্যদিনের চাইতে অনেক বেশি মসলার প্রয়োজন হয়। হিলি বাজারে মসলার দাম অনেকটা কম থাকায় জিরা, এলাচসহ দারুচিনি একটু বেশিই কিনলাম।
হিলি বাজারে মসলা ব্যবসায়ী মোকারম শেখ বলেন, আমাদের হিলি বাজারটি একটি মসলার মার্কেট। রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী ও ঢাকা থেকেও ক্রেতারা আসেন মসলা কিনতে। তবে ঈদের সময় ক্রেতারা মসলা বেশি কিনতে আসেন।
রকমারি মসলা ঘরের মালিক সিফাত মণ্ডল বলেন, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে জিরাসহ প্রায় মসলার দাম কমে গেছে। হিলি বন্দর দিয়ে জিরাসহ সব মসলার আমদানি বেড়েছে, যার কারণে দামও কমেছে। ঈদ উপলক্ষে বেচাবিক্রি মোটামুটি শুরু হয়েছে, ঈদের আগমুহূর্তে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক আছে। বিশেষ করে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও জিরা। এসব পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। আশা করছি আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামীতে আরও দাম কমে যাবে।