প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ১৭:৪৫ পিএম
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণসহ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সই এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।
বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামে তিনি এসব কথা বলেন। উক্ত ফোরামে ভিয়েতনামের ১৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।
কৃষি, পযর্টন, ঔষধ, মৎস, আইসিটিসহ বেশকিছু শিল্পের বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ফ্যান থি থ্যাং জানান, উভয় দেশ একে অপরের পণ্যে উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করে রেখেছে। ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা দূর করাসহ পরিবহন, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস ব্যবস্থা সহজ করা গেলে অনাবিষ্কৃত খাতসমুহে বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ় করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানও একই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে লেনদেন পদ্ধতি আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে হবে। এতে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই গতি আসবে।
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে, যার বড় একটি অংশ আজও অনাবিষ্কৃত।” তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত গুয়েন মান কোং বলেন, যৌথ ভেঞ্চার, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাণিজ্য-ভিসা সহজীকরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে।
ভিয়েতনাম বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডো ভ্যান থ্রং বলেন, পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ড. ফেরদৌসী রহমান, সহায়ক কমিটির সদস্যরা, সাধারণ পরিষদের সদস্যরা এবং ব্যবসায়ী নেতারা।