× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কর সুবিধা দিয়ে আস্থা ফিরবে না পুঁজিবাজারে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৪১ পিএম

প্রবা গ্রাফিক্স

প্রবা গ্রাফিক্স

কর সুবিধা দিয়ে পুঁজিবাজারে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘বাজারে দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তি এই আস্থাহীনতার মূল কারণ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছেন।’

গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন।

মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সারাজীবন কর অব্যাহতি দিলাম, রেজাল্ট তো আসে না। আগেই কেন অব্যাহতির কথা আসে। সবার আগে কেন ট্যাক্স হলিডে লাগবে? কর অব্যাহতির সংস্কৃতিতে আর থাকতে চাই না। অব্যাহতি দিতে দিতে নিম্ন কর জিডিপি অনুপাত থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের বদনাম হয়ে গেছে যে, রাজস্ব যা আদায় করি, তার সমপরিমাণ অব্যাহতি দেই।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে তাদের ৭ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যাপিটাল হারিয়েছে। আমরা অব্যাহতি সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছি। আমরা পণ করেছি অব্যাহতি আর দেব না। অব্যাহতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।’

সুশাসনের অনুপস্থিতিই বীমা খাতের বড় সমস্যা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় প্রবলেম হলোÑ আপনারা এমন একটা ব্যবসা করেন, যেখানে ব্যবসা করার জন্য যে টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজ দরকার, সেই টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজ ছাড়াই আপনারা ব্যবসা করেন এবং সে টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজকে লালনপালন করার কোনো উদ্যোগ আপনাদের নাই। উন্নয়ন সহযোগীরা দেশের বীমা খাতকে প্রমোট করতে বলছে, কিন্তু এই সমস্ত কারণে এটা আগায় না।’

উন্নত দেশের মতো বীমা কোম্পানিগুলোকে হেলথ কার্ড চালুর তাগিদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, হেলথ ইনস্যুরেন্স ভালোভাবে দিতে পারলে বাংলাদেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে।

স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক মূলধনী মুনাফার ওপর সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি। এ ছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস, উৎসে লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর হ্রাস এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা, তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের ওপর কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের বাজেট প্রস্তাবনায় লভ্যাংশ করের ওপর দ্বৈত করের বিধান প্রত্যাহার করে লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত করা, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রদেয় কর হারের ব্যবধান কোনো ধরনের শর্ত ছাড়া ১০ শতাংশ করা, নির্ধারিত বার্ষিক মোট নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগ এ সীমা ৩৬ লাখ টাকার স্থলে মোট ব্যবসায়িক টার্নওভারের ১০ শতাংশ করা, এসএমই ও এটিবি এ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে তালিকাভুক্তির প্রথম তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেওয়া, করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সংগঠনটি করপোরেট কর হ্রাস করা, স্বাস্থ্য বীমার ওপর ট্যাক্স কর্তন রহিত করা, অনলাইনভিত্তিক বীমা প্রিমিয়ামের ওপর ভ্যাট ও করপোরেট কর রহিত করার প্রস্তাব জানিয়েছে।

বীমা কোম্পানিগুলো উন্নত দেশের মতো হেলথ কার্ডের প্রচলন করতে না পারায় সমালোচনা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘হেলথ ইনস্যুরেন্স ভালোভাবে দিতে পারলে বাংলাদেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে।’

এ ছাড়া ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ মূলধনী আয়ের ওপর করহার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) ভ্যাট সফটওয়্যারের বাস্তবায়ন, ঋণ অ্যাকাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার, মূসক নিরীক্ষা কার্যক্রম সমাপ্তির সময় সুনির্দিষ্ট করা।

তাদের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অনিবাসীকে ঋণের সুদ পরিশোধের সময় উৎসে আয়কর কর্তনের ক্ষেত্রে আগের মতো অব্যাহতির মেয়াদ বর্ধিত করা, ব্যাংকের করপোরেট আয়করের হার হ্রাস করা এবং সব তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য অভিন্ন করপোরেট করের হার প্রণয়ন করা, ব্যাংকে মেয়াদি আমানতের হিসাব খোলা ও বহাল রাখা, ঋণ বিতরণ ও ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিধান প্রত্যাহার করে আগের মতো ই-টিএন দাখিলের বিধান পুনর্বহাল করা, দ্বৈত কর (ডাবল ট্যাক্সেশন) হলে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ের চুক্তি তাই ব্যাংকগুলোকে দ্বৈত কর চুক্তিতে বর্ণিত কর হার প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া ইত্যাদি। 

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা, স্টক লভ্যাংশের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের হার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার সুপারিশ করে প্রাক-বাজেট আলোচনায়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা