প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৫ পিএম
গভীর সমুদ্রে মৎস আহরণ, পর্যটন, শিপিং প্রভৃতি খাতে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
রবিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১৩৪.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রতি বছর প্রায় ৯.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, আর্থিক খাত, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ, নির্মাণ এবং ঔষধ শিল্প খাতে শ্রীলঙ্কার বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৪২৮.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, নির্মাণ শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, তথ্য-প্রযুক্তি এবং এফএমসিজি প্রভৃতি খাতে আরও শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে গভীর সমুদ্রে মৎস আহরণ, পর্যটন, শিপিং প্রভৃতি খাতে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন তাসকীন আহমেদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রস্তাবিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়টি দুদেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি জানান, তার দেশের সিনথেটিক ফেব্রিক্স খাতের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং ঔষধ শিল্পে দুদেশের উদ্যোক্তাদের যৌথ বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যটন খাতের উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশের উদ্যেক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করেছে এবং দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণে অতিদ্রুত পিটিএ স্বাক্ষরের কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি