× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কমেছে মুরগির দাম, কিছুটা স্বস্তি তেলে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৮ এএম

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫ ১২:০২ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে বাজারে মুরগি, বেগুন ও লেবুসহ কয়েকটি পণ্যের দাম অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারভেদে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বেড়েছে। তা ছাড়া রোজার ভোগ্যপণ্য হিসেবে পরিচিত ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, চিনির বাজারে আগের মতোই রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নতুন বাজার, রামপুরা, জোয়ারসাহারা ও ভাটারা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৪০ টাকা কমে সোনালি ৩৬০-৩৭০ টাকা, লেয়ার ৩২০ টাকা, দেশি ৬৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা কমে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রমজানের প্রথম দিকে চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। তবে বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় এবং ক্রেতাদের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় দামও নিম্নমুখী। ব্যবসায়ীরা জানান, বিশেষ করে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কমায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। শুধু ব্রয়লার মুরগিই নয়, চিনি, পেঁয়াজ, প্যাকেট আটা এবং সয়াবিন তেলের দামও কমতির দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামাল প্রতি পণ্যে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। শসা ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, সবুজ ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা, পটোল ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, আলু ২৪ টাকা, করলা ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ‍১২০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা কেজিপ্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আকাশচুম্বীতে রয়েছে লেবুর দর। এক হালি ছোট আকারের লেবু ৪০ টাকা, মাঝারি মানের লেবু ৬০-৭০ ও বড় লেবু ৮০-১০০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারটিতে কথা হয় মো. কবির হোসেন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, এইবার তেল, লেবু বাদে বাকি সব পণ্য সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। গতবার তো বাজারে প্রবেশের সাহস হতো না। সেখানে এবার ব্যাগভর্তি বাজার করতে পারছি। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচাবাজারের দাম অল্প ওঠানামা করতে পারে। খুব বেশি বাড়বে না। সবকিছু সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলে আশ্বাস রেখেছেন তারা।

ফলের বাজারে দাম বেড়েছে সবকিছুতে ২০-৩০ টাকা। গোল্ডেন আপেল ৪৫০ টাকা, গালা আপেল ৪৪০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, কমলা ৩৫০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আঙ্গুর ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, নাসপাতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মাল্টা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড়ই ৮০ টাকা, তরমুজ ৬০ টাকা কেজিপ্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা, চিনি আতপ চাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভাটারার শেওড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এসেও কিছু পণ্য বাদে অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ছোলাসহ নিত্যপণ্যের দাম। মৌসুমের সময় হওয়ায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে আনারস ও তরমুজের জোগান রয়েছে। মাছের বাজারে দাম বাড়েনি বরং কিছুটা কমেছে বলে জানান মাছ ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, রমজানের শুরুর সঙ্গে এখনকার দামের পার্থক্য খুব কম। তবে বেচাকেনা খারাপ না। সামনে (ঈদে) দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে মাঝারি আকারের রুই কেজিপ্রতি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, বড় আকারের ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ টাকা, চিংড়ি ছোট আকারের ৭০০ ও বড় আকারের ১০০০ টাকা, পাঙাশ মাঝারি আকারের ১৮০ ও বড় আকারের ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা