প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ২২:১৮ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫ ২৩:২৯ পিএম
বেসরকারি খাতের মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন করে কারা পর্ষদের দায়িত্ব পেয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই পলাতক। সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। গত দুই বছরে এই সংকট আরও গভীর হয়েছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থপাচার, লাগামহীন খেলাপি ঋণ, ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট, ডলার ও রিজার্ভ সংকটে ব্যাংক খাতের ক্ষত আরো গভীর হয়েছে।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় বারের মতো একশনে গিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরই ব্যাংকিং খাতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আর্থিক খাতকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। এর মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের হাত থেকে রাহুমুক্ত করেন ইসলামী, এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটিসহ আরো কয়েকটি ব্যাংক।
এছাড়া আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধ, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ আরো কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গত সাত মাসে। সাহসী পদক্ষেপে আস্থায় ব্যাংক খাতএরই মধ্যে দেশের মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে খুব শিগগির আরও ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদী গভর্নর।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটিও পালন করেননি ওই সময়ের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বরং দফায় দফায় তাঁর ভুল নীতির খেসারত দিতে হয়েছে ব্যাংক খাতকে। এতে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থাহীনতা বাড়ে।