× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চুরির অভিযোগে প্রকৌশলী বরখাস্ত

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:০৩ পিএম

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:১৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

এক কর্মকর্তা হঠাৎ করে তার রুমে রাখা ‘ব্লুটুথ ডিভাইসটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আরেক কর্মকর্তা পরদিন অফিসে আসার পর দেখেন তার টেবিলে প্রশাসন শাখার ইউপিএস, এডাপ্টার ও একটি মডেম খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা গেল এগুলো ‘চুরি’করছেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই একজন প্রকৌশলী! পরে ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ওই প্রতিষ্ঠান।

এমন অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত মো. রেজাউল ইসলাম। এ প্রকৌশলীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বলেন, রেজাউল ইসলামকে এ বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।

রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, হিসাব বিভাগের পরিচালক গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় অফিস ত্যাগের সময় তার কক্ষে ব্যবহৃত ব্লুটুথ ডিভাইসটি পাশের র‌্যাকে ছিল। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল বেলায় অফিসে এসে নির্ধারিত জায়গায় ওই ডিভাইসটি পাওয়া যায়নি। পরে এ অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করেন, পরিচালকের দপ্তরের অফিস সহায়ক মো. রোকন উদ্দিন খান।

আরেকটি অভিযোগে বলা হয়, প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মশিউর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর অফিসে প্রবেশের পর প্রশাসন শাখার ইউপিএসটি খুঁজে পাননি। তার অফিসে ব্যবহৃত একটি এডাপ্টার ও একটি মডেম ইতোপূর্বে হারিয়েছে। পরে তিনিও তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র হারানোর গিয়েছে বলে আবেদন করেন।

বরখাস্তের ওই অফিস আদেশে বলা হয়, পর পর দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর ওই সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৮টায় মো. রেজাউল ইসলাম একজন বহিরাগত ব্যক্তিসহ মোহাম্মদ মশিউর রহমানের রুমে খালি হাতে প্রবেশ করেন এবং একটু পরে একটি বস্তাসহ বের হয়ে যান।

যেহেতু, সিসি টিভির ফুটেজে বহিরাগত ব্যক্তি হিসেবে মাসুদ এন্টারপ্রাইজের (ডিস লাইন সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান) সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত মো. মিজানুর রহমানকে সনাক্ত করা হলে পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৭টায় মো. রেজাউল ইসলামের সঙ্গে তার কথা হয়। তার নির্দেশে ও উপস্থিতিতে মশিউর রহমানের রুম থেকে ইউপিএস নিয়ে মো রেজাউল ইসলামের বাসার পাশে দিয়ে আসেন।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভবনে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ড জুয়েল রানা লিখিত বক্তব্যে জানান, ডিস লাইনম্যান মিজানুর রহমান আনুমানিক রাত ৮টার পর মো. রেজাউল ইসলামসহ একটি বস্তা নিয়ে অফিস থেকে বের হন।

ওই আদেশে বলা হয়, বিষয়টির গুরুত্ব ও অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. রেজাউল ইসলামকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা-২০০৪ এর প্রবিধান ৪৬ (১) মোতাবেক বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চাকরী  থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও সমীচীন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। তবে এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। পরে আবার ফোন করে তিনি দাবি করেন, এটি ষড়যন্ত্র। কে কোথায় ষড়যন্ত্র করছে তা এখন বলবেন না।

এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ভূঁইয়াকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিভাইসসহ অন্য সামগ্রী চুরির একটি অভিযোগ আছে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তবে কত টাকা মূল্যেও পণ্য সামগ্রী খোয়া গেছে, বা তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অদৌ সত্য কিনা, তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, আগাারগাঁও অফিসটি নতুন। নির্মাণাধীন ভবনের দেখভালের জন্যই রেজাউল ইসলামকে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকায় আনা হয়েছে। তবে ঢাকা এসেছেন কিছুদিন হলো। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আসছে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু হয় গত আগস্ট থেকে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা