× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টেকসই উন্নয়নে দরকার প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫ ২১:৩২ পিএম

টেকসই উন্নয়নে দরকার প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

টেকসই উন্নয়নে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি দরকার বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে যত ব্যবসায়ী সংগঠন ছিল, তারা দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি। তখন দেশের ভেতরে নির্বাচন হয়নি, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও নির্বাচন হয়নি। যেখানে নির্বাচন নাই, প্রতিযোগিতা নাই, সেখানে আমরা টেকসই উন্নয়ন করব-এটা তো হবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা একই সঙ্গে দুর্নীতি করেছেন, আবার টেকসই উন্নয়নের কথাও বলেছেন। এটা অনেকটা ফাঁকা বুলির মতন।’

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫ ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের দেশে আগের চেয়ে অনেক বেশি টেকসই উন্নয়নের ধারণার প্রসার ঘটেছে এবং গভীরতাও বেড়েছে। এ অর্জনটি আমাদের বেসরকারি খাতের অর্জন। এ অর্জন সবসময় সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না, এটিও ঠিক।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাসটেইনেবলিটির প্রসার ও এর অর্জনের যথেষ্ট স্বীকৃতি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এটিকে বিশ্বের কাছে এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরতে পারিনি। ফলে এর ব্যবসায়িক অর্জনও অনেকটা সীমিত রয়ে গেছে। আবার বেসরকারি খাতের জন্য উপযুক্ত ব্যবসার পরিবেশ না থাকলে টেকসই ব্যবসা মডেলও তৈরি হবে না। সাসটেইনেবল মডেলকে আরও প্রসার করতে হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সমর্থন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে অর্থায়ন সমস্যা, জ্বালানি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণমূলক হয়রানি ব্যবস্থা ও শ্রম পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন। 

প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে উদ্যোক্তা এবং তাদের নিয়ে সৎ প্রতিষ্ঠান দরকার বলেও মন্তব্য করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ মেম্বার ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি উভয় জায়গা থেকেই কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। বলা যায়, ব্যক্তিখাতের উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়।’

তিনি জানান, দেশে এক কোটির মতো উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শুধু তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। তৈরি পোশাক ছাড়াও আরও অনেক খাতের টেকসই উৎপাদনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে এসএমইদেরও (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত) সচেতন করা প্রয়োজন।

জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহামিন জামান বলেন, ‘আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলসহ বিভিন্ন খাতে সিএসআরের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু এসডিজি বাস্তবায়নে এসব অর্থ কতটা কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে, তা বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের অবদানকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে।’

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেট দিয়ে এসডিজি পূরণ হবে না, এখানে সবার অংশগ্রহণ লাগবে। আমাদের দেশে সামাজিক ব্যবসার জন্য এখনো আইনি কাঠামো তৈরি হয়নি। আর্থিক সুযোগ, দায়িত্বপূর্ণ উৎপাদন, শোভন কাজ নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে।’

মেট্রো চেম্বার-এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘দেশের শ্রমবাজারের ৮৫ শতাংশ মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। অর্থাৎ, শুধু ১৫ শতাংশ মানুষের জন্য সব ধরনের নিয়মকানুন প্রয়োগ করা হয়। প্রতিবছর ২০-২৫ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছেন। অথচ তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। আবার বিদেশেও দক্ষ শ্রমিক পাঠানো যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করতে হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা