প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে, এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকেও একটি ক্রাইসিস সেল খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে “বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির” সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত নভেম্বরে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় কিন্তু বাজারে এখনও ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে এর কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একটা কথা ঠিক যে বাজারে যারা ব্যবসায়ী তারা ফেরেস্তা না। কিন্তু আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দেই সেটা সব সময় দিতে হবে তা কিন্তু নয়। আমরা শুধু দাম কতো হওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করে দেই। তারপরও দেখি ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় চিনিতে সুবিধা নিয়েছে। তবে আমাদের কাগজপত্রের হিসাবে প্রচুর পরিমাণ চিনি রয়েছে, পাইপ লাইনেও আছে৷ আপনারা দেখছেন আমাদের ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে৷ এখন আমরা চিন্তা করছি, যদি প্রয়োজন হয় জেলের ব্যবস্থা করে কারাগারে পাঠানো যায় কিনা।
তিনি বলেন, চিনির দামটা যেটুকু বেশি আছে সেটা কমে আসবে। আজকে একটু কথা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যিনি এসেছেন তাকে বলেছি চিনির ওপর ডিউটি যদি একটু কমানো যায় বা কনসিডার করা যায় তাহলে দামের ওপর প্রভাব পড়বে বা দাম কমে যাবে।
চিনি আমদানিতে অনুমোদন দেবেন কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি আছে। অন্য বছরের তুলনায় প্রচুর চিনি রয়েছে। আর আমদানি তো ওপেন আছে৷ বাজারে যা মজুদ আছে সেটা কোন অবস্থায় দেশের জন্য বিপদজনক নয়। শুধু সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চিনি পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাজারে ঘাটতি থাকলে সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি করতে পারে আর পারেনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটা ভোক্তা অধিকার আছে তারা সেটা দেখছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কে কি বলেছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার দেখার বিষয় যে দাম হওয়া উচিত, যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা। আর যে ব্যাপারটি রয়েছে সেটা হলো টেকনিক্যাল ব্যপার, সেটা তো অস্বীকার করতে পারি না।
তিনি বলেন, যারা চিনি উৎপাদন করে তাদের নিয়মিত গ্যাস সাপ্লাই দরকার। সেখানে সমস্যা হলে তারা আর কাজ করতে পারবে না। আমরা সবাই জানি কোথাও কোন না কোন সমস্যা আছে। আজকে সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরো ভালো করে দেখার জন্য আমরা চিন্তা করেছি কিছু নির্ধারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। খুব শিগগিরই এই কমিটি করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও বলেছি তারা যদি একটি ক্রাইসিস সেল খোলে। এই সেল দেখবে কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যতোটা না সমস্যা হচ্ছে তার থেকে বেশি অপপ্রচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রত্রিকায় আসছে ১০০টি এলসি বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বলেছে। এদেশে প্রতিদিন হাজার হাজার এলসি হয়। এই ১০০ টি এলসি বন্ধ হয়েছে কারন প্রতিটিই ছিলো অতিমূল্যের জন্য। এই ১০০ টির নিউজ বেশি করে হলো। অথচ ৯০০ টি যে ভালোভাবে হলো সেটা কেউ প্রচার করলো না। এখানে সচেতন হতে হবে।