প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১১ পিএম
ডিজিটাল মাধ্যমের উত্থান ও অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমের অগ্রগতির ফলে সংকটে পড়েছে দেশের সংবাদপত্র শিল্প। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুল্ক ও করনীতিতে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি বলেন, ‘ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় সংবাদপত্র শিল্প চরম চাপে পড়েছে। বিগত বাজেটগুলোতে এ খাতের সংকট নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, তাই এবার সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিক ছাড়াও মুদ্রণ, বিপণন, বিতরণ ও বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত অগণিত মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। শুল্ক ও করনীতিতে সংস্কার ছাড়া সংবাদপত্র শিল্পের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’
সংগঠনটির প্রস্তাবনায় নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং করপোরেট ট্যাক্স কমানো বা অবলোপনের দাবি জানানো হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান নোয়াবের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম কর সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তাই তাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। বিশেষ করে এআইটি ও অগ্রিম কর (এটি) কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা হবে।’
এ সময় প্রথম আলোর সম্পাদক ও নোয়াবের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, গত ১৬ বছরে সংবাদপত্র শিল্প সরকারের কোনো সহযোগিতা পায়নি, বরং নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যায়সংগত নীতিগত সমর্থনের আশা প্রকাশ করেন।
সংগঠনের মতে, কর ও শুল্কের উচ্চ হার এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সংবাদপত্র শিল্পের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে নীতিগত পরিবর্তন না হলে সংবাদপত্র শিল্পের টিকে থাকা কঠিন হবে।